ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
শিরোনাম ::
৯৯৯ এ ফোনে পুলিশ আসতে বিলম্ব হওয়ায়,ভুয়া পুলিশের অপবাদ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন দোকানি জিলাপি খাওয়ার লোভ সামলাতে পারলেন না ওসি মনোয়ার অন্তঃপর.. নীলফামারীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত কাল পহেলা বৈশাখ বিরাজ করছে, উৎসবের আমেজ শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি ২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল!

বরগুনায় জমিজমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধরে স্বামী স্ত্রী আহত

আহত স্বামী মোঃ জাকির খান (৫০) ও তার স্ত্রী মোসাঃ সালমা বেগম(৪৫) ছবি:সংগৃহীত

বরগুনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে স্বামী স্ত্রী আহত। আহতদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের গোড়াপদ্মা গ্রামে। গত ২৪ এপ্রিল বুধবার বিকাল অনুমান ৪টার দিকে নিজেদের জমিতে গেলে প্রতিপক্ষ মোঃ রশিদ খানের নেতৃত্বে হামলা চালায় একই গ্রামের মৃত আঃ রহমান খানের পুত্র মোঃ জাকির খান (৫০) ও তার স্ত্রী মোসাঃ সালমা বেগম(৪৫) এর উপর। রশিদ খানের নেতৃত্বে আঃ খালেক এর পুত্র খাইরুল, আবুল বাশার এর পুত্র আরাফাতসহ আরও ৫/৭ জন অংশ নেয়।

খোজ নিয়ে জানাযায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে জাকির এর বিরোধ চলমান ছিল। গত বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে জমিতে গেলে প্রতিপক্ষরা জাকির এবং তার স্ত্রী সালমা তাদের জমিতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালায়।

ঘটনার বিষয় জাকির বলেন, রশিদ খানের সঙ্গে আমাদের জমিজমা নিয়া বিরোধ চলমান। বিরোধ নিয়া স্থানীয়ভাবে শালিশ মিমাংশাও হয়েছে। সেখানে আমি রায় পাই। তিনি আরও বলেন, আমার জমির গাছ কাটতে গেলে তারা আমাকে বাঁধা দেয় এবং এক পর্যায় রশিদ খানের নেতৃত্বে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমার স্ত্রীর মাথায় রশিদ খান কুঠার দিয়ে আঘাতও করে এবং পিটিয়ে হাত ভেঙে ফেলে।

জাকিরের স্ত্রী সালমা বলেন, জমি নিয়া পূর্বে শালিশ হইছে। আমার স্বামী রায় পায়। বাড়ির উপরের গাছ কাটতে গেলে রশিদ খানের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। রশিদ খান কুঠার দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে এবং অন্যরা পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়।

রশিদ খানের ছেলে বাশারের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় রশিদ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি তাদের মারধর করিনি। উল্টো তারাই আমাকে মারধর করছে। আমার হাতে কুঠার ছিল। কিন্তু কোন আমি মারধর করিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয় আমি শুনেছি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

৯৯৯ এ ফোনে পুলিশ আসতে বিলম্ব হওয়ায়,ভুয়া পুলিশের অপবাদ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন দোকানি

বরগুনায় জমিজমা বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের মারধরে স্বামী স্ত্রী আহত

আপডেট সময় : ০২:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

আহত স্বামী মোঃ জাকির খান (৫০) ও তার স্ত্রী মোসাঃ সালমা বেগম(৪৫) ছবি:সংগৃহীত

বরগুনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের আঘাতে স্বামী স্ত্রী আহত। আহতদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ১০নং নলটোনা ইউনিয়নের গোড়াপদ্মা গ্রামে। গত ২৪ এপ্রিল বুধবার বিকাল অনুমান ৪টার দিকে নিজেদের জমিতে গেলে প্রতিপক্ষ মোঃ রশিদ খানের নেতৃত্বে হামলা চালায় একই গ্রামের মৃত আঃ রহমান খানের পুত্র মোঃ জাকির খান (৫০) ও তার স্ত্রী মোসাঃ সালমা বেগম(৪৫) এর উপর। রশিদ খানের নেতৃত্বে আঃ খালেক এর পুত্র খাইরুল, আবুল বাশার এর পুত্র আরাফাতসহ আরও ৫/৭ জন অংশ নেয়।

খোজ নিয়ে জানাযায়, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে জাকির এর বিরোধ চলমান ছিল। গত বুধবার বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে জমিতে গেলে প্রতিপক্ষরা জাকির এবং তার স্ত্রী সালমা তাদের জমিতে গেলে প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালায়।

ঘটনার বিষয় জাকির বলেন, রশিদ খানের সঙ্গে আমাদের জমিজমা নিয়া বিরোধ চলমান। বিরোধ নিয়া স্থানীয়ভাবে শালিশ মিমাংশাও হয়েছে। সেখানে আমি রায় পাই। তিনি আরও বলেন, আমার জমির গাছ কাটতে গেলে তারা আমাকে বাঁধা দেয় এবং এক পর্যায় রশিদ খানের নেতৃত্বে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মারধর করে। আমার স্ত্রীর মাথায় রশিদ খান কুঠার দিয়ে আঘাতও করে এবং পিটিয়ে হাত ভেঙে ফেলে।

জাকিরের স্ত্রী সালমা বলেন, জমি নিয়া পূর্বে শালিশ হইছে। আমার স্বামী রায় পায়। বাড়ির উপরের গাছ কাটতে গেলে রশিদ খানের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। রশিদ খান কুঠার দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে এবং অন্যরা পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়।

রশিদ খানের ছেলে বাশারের মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় রশিদ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি তাদের মারধর করিনি। উল্টো তারাই আমাকে মারধর করছে। আমার হাতে কুঠার ছিল। কিন্তু কোন আমি মারধর করিনি।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয় আমি শুনেছি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।