দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ ও মধুপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে আজ শনিবার অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বান্দরবান জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুছকেও দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর থেকে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শৃঙ্খলাবিরোধী অভিযোগে কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের ১৮ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি। দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতা ৮ জন; তারা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ একে একরামুজ্জামান, তাঁতীবিষয়ক সহসম্পাদক রাবেয়া ভূঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, শাহ শহীদ সারোয়ার, মতিউর রহমান মন্টু, খন্দকার আহসান হাবিব ও একেএম ফখরুল ইসলাম।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ৭ জন হলেন- শেরপুর জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক জায়েদুর রশিদ শ্যামল, সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ, পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল আজিজ, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য মাহবুবুল হাসান, ঢাকার ধামরাই পৌর বিএনপির সভাপতি দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও সর্বশেষ আজ বিকেলে বহিষ্কার করা হয়েছেন জামালপুর জেলা বিএনপির সদস্য ও ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি হোসেন রেজা বাবু।
এদিকে ৩০ নভেম্বর শাহজাহান ওমর আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে নতুন নিবন্ধিত বিএনএমে যোগ দিয়ে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর ফরিদপুর-৪ আসনে এবং মতিউর রহমান মন্টু রাজশাহী-৩ আসনে, ‘স্বতন্ত্র গণতন্ত্র মঞ্চ’ গঠন করে খন্দকার আহসান হাবিব টাঙ্গাইল-৫ আসনে এবং একেএম ফখরুল ইসলাম ঝালকাঠি-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ব্রাক্ষণবাড়িয়া-১ আসনে এবং শাহ শহীদ সারোয়ার ময়মনসিংহ-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বহিষ্কৃত জেলা নেতাদের মধ্যে বিএনএম থেকে শেরপুরের মো. আবদুল্লাহ শেরপুর-১ আসনে ও চাপাইনবাবগঞ্জের আবদুল মতিন চাপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে, তৃণমূল বিএনপি থেকে জায়েদুল রশিদ শ্যামল শেরপুর-২ আসনে ও পঞ্চগড়ের আব্দুল আজিজ পঞ্চগড়-২ আসনে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দেওয়ানগঞ্জের মাহবুবুল হাসান জামালপুর-১ আসনে এবং ধামরাইয়ের দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু ঢাকা-২০ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
রাবেয়া সিরাজ তার মেয়ে শুল্কা সিরাজ যিনি টাঙ্গাইল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সর্বশেষ বান্দরবান জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুছ, টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ ও মধুপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য খন্দকার আনোয়ারুল হককে বহিষ্কার করলো দলটি।