আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে (ইসি)।ছবি:সংগৃহীত
আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হবে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। রোববার আচরণবিধি লঙ্গনের দায়ী গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন কমিশনার। প্রার্থীর শুনানি শেষে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের বহুল আলোচিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট জামিল হাসান দুর্জয়। দফায় দফায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জামিল হাসানের প্রার্থিতা বোধবার বাতিল করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির রায়ের বিরুদ্ধে আজ উচ্চ আদালতে আপিল পিটিশন দায়ের করেন জামিল হাসান দুর্জয়। কিন্তু উক্ত আপিল শুনানী আজ বৃহস্পতিবার(১৬ মে) অনুষ্ঠিত হয়নি। আগামী ১৯শে মে রবিবার হাইকোর্টেরৃ চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে আজ গাজীপুরে শ্রীপুর উপজেলার সকল জনগণের দৃষ্টি ছিল হাইকোর্টের রায়ের দিকে। জামিল হাসান দুর্জয়ের কর্মী সমর্থকরা আশা করেছিলেন হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে প্রার্থিতা ফিরে পাবেন তাদের প্রিয় নেতা জামিল হাসান দুর্জয়। অনেকে আবার অতি উৎসাহিত হয়ে জামিল হাসান দুর্জয় প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা স্ট্যাটাস দেয়। ফলে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। এদিকে আজকে রায় না আসায় জামিল হাসান দূর্জয়ের কর্মী সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের ধারণা নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ে যেতে পারেন জামিল হাসান দূর্জয়।
উল্লেখ্য থাকে যে, জামিল হাসান বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক। ক্ষমতাসীন দলের টানা পাঁচ বারের নির্বাচিত সাবেক মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের সন্তান, বর্তমান সংসদ সদস্য এবং প্রতিমন্ত্রীর বড় ভাই। তিনি গত ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে গাজীপুর -৩ অর্থাৎ শ্রীপুর এবং গাজীপুর সদরের আংশিক এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছিলেন । কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। এরপর গত ৭জানুয়ারির নির্বাচনেও মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন তিনি । তবে দলীয় মনোনয়ন পান তৎকলীন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য তারই ছোট বোন রোমানা আলী।পরে তিনি তাঁর ছোট বোনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর বর্তমানে আসছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংগ্রহন করেন তিনি।