ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি ২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল! সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে,স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ভালুকায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানে ১৪মন ঝাটকাসহ আটক ৫ কিশোরগঞ্জে শহরের একটি বাসা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ময়মনসিংহের ত্রিশালে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যা,স্বামী উধাও

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

 

 

ময়মনসিংহের ত্রিশালে হত্যার পর গর্তে পুঁতে রাখা তিন মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত নারী আমেনা বেগম (৩০) এবং দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)। ঘটনার পর থেকে আমেনার স্বামী আলী হোসেন পলাতক রয়েছেন।

ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম। দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আলী হোসেন নির্জন স্থানে পুঁতে রেখে যায় এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আলী হোসেন ওই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। আমেনা খাতুন সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে।

জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফুফাতো বোন আমেনার। এলাকার একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন আমেনা। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ত্রিশালের কাকচর নয়াপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড়ে পতিত জমির গর্তে ২ শিশু ও এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। রাতে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর আমেনার মা হাসিনা খাতুন ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দেন।

পুলিশ জানায়, নিজে কোনো কাজ না করে ঘুরে বেড়াতেন আলী হোসেন। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন আলী হোসেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী টাকা দিতে না চাওয়ায় স্ত্রীকে গার্মেন্টসে নিয়ে যাওয়ার নামে দুই শিশু সন্তানসহ হত্যার পর মরদেহ রাতের বেলায় নির্জন স্থানে নিয়ে পুঁতে রাখে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা সময়ের সন্ধানে বলেন, অভিযুক্ত আলী হোসেন এর আগেও ধর্ষণসহ হত্যা মামলায় সাত বছর কারাগারে ছিলেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে হত্যার ঘটনায় তাকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি

ময়মনসিংহের ত্রিশালে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে হত্যা,স্বামী উধাও

আপডেট সময় : ০৫:২৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

 

 

ময়মনসিংহের ত্রিশালে হত্যার পর গর্তে পুঁতে রাখা তিন মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত নারী আমেনা বেগম (৩০) এবং দুই ছেলে আবু বক্কর (৪) ও আনাস (২)। ঘটনার পর থেকে আমেনার স্বামী আলী হোসেন পলাতক রয়েছেন।

ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর নয়াপাড়া গ্রামের আলী হোসেনের স্ত্রী আমেনা বেগম। দুই শিশু সন্তানসহ স্ত্রীকে হত্যার পর আলী হোসেন নির্জন স্থানে পুঁতে রেখে যায় এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আলী হোসেন ওই গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। আমেনা খাতুন সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের আবদুল খালেকের মেয়ে।

জানা গেছে, গত ৬ বছর আগে আলী হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ফুফাতো বোন আমেনার। এলাকার একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালাতেন আমেনা। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ত্রিশালের কাকচর নয়াপাড়া এলাকার একটি পুকুরপাড়ে পতিত জমির গর্তে ২ শিশু ও এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। রাতে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর আমেনার মা হাসিনা খাতুন ত্রিশাল থানায় অভিযোগ দেন।

পুলিশ জানায়, নিজে কোনো কাজ না করে ঘুরে বেড়াতেন আলী হোসেন। এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তির টাকা দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে চাপ দেন আলী হোসেন। ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী টাকা দিতে না চাওয়ায় স্ত্রীকে গার্মেন্টসে নিয়ে যাওয়ার নামে দুই শিশু সন্তানসহ হত্যার পর মরদেহ রাতের বেলায় নির্জন স্থানে নিয়ে পুঁতে রাখে।

জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভুঁঞা সময়ের সন্ধানে বলেন, অভিযুক্ত আলী হোসেন এর আগেও ধর্ষণসহ হত্যা মামলায় সাত বছর কারাগারে ছিলেন। স্ত্রী ও দুই ছেলে হত্যার ঘটনায় তাকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।