ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
ছেলের বউকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, সালিশে ৪ কাঠা জমি ও সমাজকে ২০ হাজারে ফায়সালা ইউনিয়ন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ বেগমকে ১৮ পিস ইয়াবাসহ আটক ব্যাটারিচালিত ভ্যান মোড় ঘোরানোর সময়, মায়ের কোল থেকে ৪ মাসের শিশুর সড়কে মর্মান্তিক মৃত্যু মোবাইল অপারেটর রবি কোম্পানির সিম বিক্রয় কর্মীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২ চায়ের দোকানদার রাজ্জাকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ,অভিযুক্তকে পিটিয়ে হত্যা করে জনতা ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনায় নারীকে পিটিয়ে হত্যা, মামলার ৮ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার পলাতক বাবা-ছেলে মোশারফের বিয়েতে শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের শুভেচ্ছা বিনিময় মুসলিমদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ ছবি উপহার দিলেন,বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস শ্রীপুরে উৎসব মুখর পরিবেশে গাজীপুর লিজেন্ড ক্রিকেট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

পারিবারিক কলহের জেরে ১৪০টি ঘুমের বড়ি খেয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

নেত্রকোনা মডেল থানার রুবেল মিয়া (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।ছবি:সংগৃহীত

 

পারিবারিক কলহের জেরে নেত্রকোনা মডেল থানার রুবেল মিয়া (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৯ জুন) রাতে তিনি ওই থানার ব্যারাকে ১৪০টি ঘুমের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে তিনি মারা যান।

রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার ব্যারাকে রাতের খাবার খান। পরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘দ্যা ইন্ড’- লিখে স্ট্যাটাস দেন। রাত ১২টার দিকে তার ছোট ভাই স্যাটাসটি দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে জানান। পরে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানায়।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চাকরির সুবাদে শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও তার দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থানার ব্যারাকে থাকতেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল মিয়ার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের মোবাইলফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সময়ের সন্ধানে বলেন, ‘কনস্টেবল রুবেল মিয়া ৮ বছর ৬ মাস ২৯ দিন আগে পুলিশে যোগদান করে। নেত্রকোনা মডেল থানায় ১ বছর ৬ মাস আগে যোগদান করে। পারিবারিক কলহের কারণে অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

জনপ্রিয় সংবাদ

ছেলের বউকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, সালিশে ৪ কাঠা জমি ও সমাজকে ২০ হাজারে ফায়সালা

পারিবারিক কলহের জেরে ১৪০টি ঘুমের বড়ি খেয়ে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১২:৪২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

নেত্রকোনা মডেল থানার রুবেল মিয়া (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।ছবি:সংগৃহীত

 

পারিবারিক কলহের জেরে নেত্রকোনা মডেল থানার রুবেল মিয়া (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (৯ জুন) রাতে তিনি ওই থানার ব্যারাকে ১৪০টি ঘুমের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে তিনি মারা যান।

রুবেল ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দুপুরে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার ব্যারাকে রাতের খাবার খান। পরে তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘দ্যা ইন্ড’- লিখে স্ট্যাটাস দেন। রাত ১২টার দিকে তার ছোট ভাই স্যাটাসটি দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে জানান। পরে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষয়টি জানায়।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চাকরির সুবাদে শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও তার দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থানার ব্যারাকে থাকতেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল মিয়ার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারের মোবাইলফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান সময়ের সন্ধানে বলেন, ‘কনস্টেবল রুবেল মিয়া ৮ বছর ৬ মাস ২৯ দিন আগে পুলিশে যোগদান করে। নেত্রকোনা মডেল থানায় ১ বছর ৬ মাস আগে যোগদান করে। পারিবারিক কলহের কারণে অতিরিক্ত ঘুমের বড়ি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’