ঢাকা ০৮:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল! সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে,স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ভালুকায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানে ১৪মন ঝাটকাসহ আটক ৫ কিশোরগঞ্জে শহরের একটি বাসা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার গাজীপুরে বাটা শোরুমে পরিকল্পিতভাবে লুট ও ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ৪

চট্টগ্রাম সকালে মা হওয়ার আনন্দে ফেসবুকে পোস্ট, রাতে মারা গেলেন মা

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সংগৃহীত

প্রসূতি মাহবুবা নাজমিন। সকালে পুত্র সন্তানের মা হয়ে নিজ ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। স্ট্যাটাসে উচ্ছ্বাস জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, পুত্র সন্তানের মা হলাম।’

নাজমিনের স্বামী মো. রিমন দুবাই প্রবাসী। সেখানে বসে তিনিও সন্তান জন্মের আনন্দে শামিল হয়েছিলেন। পরিবারে নতুন মুখের আগমনে সবার মধ্যেই ছিল খুশির আমেজ। কিন্তু এই আনন্দ আর স্থায়ী হলো না। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় নাজমিনের। একপর্যায়ে হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

মৃত নাজমিনের শ্বশুরবাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফেরিঘাট এলাকায়। সেখানেই গত সোমবার রাতে নাজমিনের প্রসবব্যথা উঠলে স্বজনরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। মঙ্গলবার সকালে সিজারিয়ার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমিনের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তিনি সুস্থ ছিলেন বলে জানান স্বজনরা। তবে বিকেলের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

“নাজমিনের স্বজনদের দাবি, প্রসবজনিত জটিলতা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে। এমন কিছু ঘটবে তারা কল্পনাও করেননি। তাই এই মৃত্যু মানতেও পারছেন না কেউ।”

চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হারুন বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নে নাজমিনদের বাড়ি। একই ইউনিয়নের মো. রিমনের সঙ্গে মাত্র দেড় বছর আগে তার বিয়ে হয়। তিন মাস আগে চাকরি নিয়ে দুবাই চলে যান রিমন। ছেলের জন্মে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। সেখান থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

রিমন লিখেছিলেন, ‘আল্লাহ তায়লার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া, আমাকে রাজপুত্র দান করেছেন। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।’ কিন্তু রিমনের এই আনন্দ স্থায়ী হয়নি। স্ত্রীকে দাফন করতে দেশে আসবেন তিনি। দেখবেন তার শিশুপুত্রকেও। তবে সেই দেখায় আর আনন্দ থাকবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর..

চট্টগ্রাম সকালে মা হওয়ার আনন্দে ফেসবুকে পোস্ট, রাতে মারা গেলেন মা

আপডেট সময় : ০১:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

ছবি:সংগৃহীত

প্রসূতি মাহবুবা নাজমিন। সকালে পুত্র সন্তানের মা হয়ে নিজ ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন তিনি। স্ট্যাটাসে উচ্ছ্বাস জানিয়ে লিখেছিলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, পুত্র সন্তানের মা হলাম।’

নাজমিনের স্বামী মো. রিমন দুবাই প্রবাসী। সেখানে বসে তিনিও সন্তান জন্মের আনন্দে শামিল হয়েছিলেন। পরিবারে নতুন মুখের আগমনে সবার মধ্যেই ছিল খুশির আমেজ। কিন্তু এই আনন্দ আর স্থায়ী হলো না। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় নাজমিনের। একপর্যায়ে হাসপাতালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।

মৃত নাজমিনের শ্বশুরবাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ফেরিঘাট এলাকায়। সেখানেই গত সোমবার রাতে নাজমিনের প্রসবব্যথা উঠলে স্বজনরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। মঙ্গলবার সকালে সিজারিয়ার অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমিনের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর তিনি সুস্থ ছিলেন বলে জানান স্বজনরা। তবে বিকেলের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

“নাজমিনের স্বজনদের দাবি, প্রসবজনিত জটিলতা থেকেই তার মৃত্যু হয়েছে। এমন কিছু ঘটবে তারা কল্পনাও করেননি। তাই এই মৃত্যু মানতেও পারছেন না কেউ।”

চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. হারুন বলেন, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলি ইউনিয়নে নাজমিনদের বাড়ি। একই ইউনিয়নের মো. রিমনের সঙ্গে মাত্র দেড় বছর আগে তার বিয়ে হয়। তিন মাস আগে চাকরি নিয়ে দুবাই চলে যান রিমন। ছেলের জন্মে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। সেখান থেকেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

রিমন লিখেছিলেন, ‘আল্লাহ তায়লার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া, আমাকে রাজপুত্র দান করেছেন। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন, আলহামদুলিল্লাহ। সবার কাছে দোয়া প্রার্থী।’ কিন্তু রিমনের এই আনন্দ স্থায়ী হয়নি। স্ত্রীকে দাফন করতে দেশে আসবেন তিনি। দেখবেন তার শিশুপুত্রকেও। তবে সেই দেখায় আর আনন্দ থাকবে না।