গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাসিক মেয়র জায়েদা খাতুন। ছবি:সময়ের সন্ধানে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক কার্যালয় (টঙ্গী অঞ্চল-১) পরিদর্শন করেছেন গাসিক মেয়র জায়েদা খাতুন।
সোমবার (২৯ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে নাশকতায় পুড়িয়ে দেওয়া বিভিন্ন যানবাহন ও ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় সিটি মেয়রের সঙ্গে ছিলেন গাসিক সচিব আব্দুল হান্নান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইব্রাহীম খানসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পরিদর্শনকালে মেয়র জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমি ক্ষতিগ্রস্ত নগর ভবন পরিদর্শন করেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিস্তারিত জানাতে পারব। আমার ছেলে আহতাবস্থায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। তার জন্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আপনাদের দোয়া চাই।’
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, ২০ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক-১ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় ময়লাবাহী ছয়টি গাড়ি, ময়লা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহৃত ২টি হুইল লোডার, রোলারসহ ১৪টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও আটটি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। একই সময়ে টঙ্গীর ডেসকো বিদ্যুৎ সাবস্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাতে গাসিক মেয়র জায়েদা খাতুনের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
এর আগে, উত্তরা এলাকায় সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরসহ তাণ্ডব চালায় নাশকতাকারীরা। তাদের হামলায় আহত হন জাহাঙ্গীর আলম। পিটিয়ে হত্যা করা হয় তার ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েল মোল্লাকে। পরে জাহাঙ্গীর আলমকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়।