ছবি:সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে দুই সন্তানের জননী চাচি তিন দিন ধরে অনশনে বসেছেন। উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ পুনাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তের নাম রফিকুল ইসলাম রানা। তিনি ওই গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। অনশনরত নারী রানার দূর সম্পর্কের চাচার বউ ছিলেন।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে পুনাইল গ্রামের রানার বাড়িতে অনশন করছেন এক নারী। অনশনরত ওই নারীর দাবি, শুক্রবার মারধর করে নগদ ২০ হাজার টাকা, মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপর মোবাইল থেকে প্রমাণ নষ্ট করে তাকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন রানা ও তার পারিবারের লোকজন। এছাড়া রানা ও তার পারিবারের লোকজনের মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাংবাদিকদের সহায়তায় বিজরুল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।
অনশনরত ওই নারী বলেন, ‘গত ৪ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিকবার আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন রফিকুল। তিনি আমার সংসার নষ্ট করেছেন। আমি প্রেমের সম্পর্কে প্রথমে না জড়াতে চাইলে সংসার ভাঙার হুমকি দিতেন তিনি। এক পর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু আগের সংসার আমার টিকেনি। এখন আমাকে যদি রানা বিয়ে না করেন, তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবার আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। তাই বিয়ে করে তার সঙ্গে সংসার করতে চাই আমি। আমার আগের স্বামী রানার আপন চাচা ছিল না। তাই বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়।’
এ বিষয়ে রফিকুল ইসলাম রানা বলেন, তার সব অভিযোগ মিথ্যা। আমার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
নন্দীগ্রাম থানার এসআই নাজমুল হক সমকালকে বলেন, এ বিষয়ে কিছুই জানি না। থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। তবে যদি সত্যি হয়ে থাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।