ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল! সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে,স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ভালুকায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানে ১৪মন ঝাটকাসহ আটক ৫ কিশোরগঞ্জে শহরের একটি বাসা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার গাজীপুরে বাটা শোরুমে পরিকল্পিতভাবে লুট ও ভাঙচুরের ঘটনায় আটক ৪

চট্রগ্রামে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার রোধে সচেতনতামূলক মানববন্ধন

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্লাস্টিক ব‍্যবহারে জনসচেতনতা মূলক মানববন্ধন। ছবি:সময়ের সন্ধানে

 

বিভাগীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :

প্লাস্টিক হটাও, পরিবেশ বাচাঁও এই প্রতিপাদ‍্য নিয়ে কসমিক স্পোর্ট হেলথ ক্লাব ও এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সরকারের প্লাস্টিক ব‍্যবহারে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্লাস্টিক ব‍্যবহারে জনসচেতনতা মূলক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

৩০ অক্টোবর রোজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে কসমিক স্পোর্টস এন্ড হেলথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হারিসা খানম সুখির পরিচালনায় এবং এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ অধ‍্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এস এম আজিজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল মুন সহ প্রমূখ।

 

উক্ত মানববন্ধনে আলোচক বৃন্দরা বলেন, আগামী বিশ্ব কিংবা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনি জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

 

প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন কাজে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বেশিরভাগ মানুষের কাছেই প্লাস্টিক দ্রব্য ছাড়া জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব মনে হতে পারে। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মুখে দেয়া চুষনি, দুধের বোতল থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন খাবার প্লেট, জগ, গ্লাস, থালা, বাটিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় জিনিসই তৈরি হয় প্লাস্টিক দিয়ে। কিন্তু এই প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি? মোটেও না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিক বা পলিথিন যেভাবে মিশ্রিত হয়ে আছে তা বর্জন করা প্রায় অসম্ভব হতে পারে। প্লাস্টিক পন্যের বিপরীতে যে অন‍্য পণ‍্য ব‍্যবহার করবো সেই পণ‍্য সহজলভ্য নেই বা সচারাচরভাবে বাজারে আসছে না। সরকার পলিথিন বা প্লাস্টিক ব‍্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিন্তু যেখান থেকে যে কারখানা থেকে এই পণ‍্যের উৎপাদন হয় সেগুলোর বিষয়ে তো নিষেধাজ্ঞা দেয় নি। একদিকে কারখানায় পলিথিনের উৎপাদন করে বাজারে ছাড়বে অন‍্য দিকে সাধারণ মানুষের উপর পলিথিন ব‍্যবহারে নিষিদ্ধ করবে তাতে কি ফলপ্রসূ হবে? যেকোনো একটি পণ‍্যের ব‍্যবহার বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেই পণ‍্যের কারখানা বন্ধ সহ তার বিপরীত পণ‍্যও বাজারে চাহিদা পরিমাণ রাখতে হবে। পলিথিন বা প্লাস্টিক পরিবেশ ক্ষতিকারক পণ‍্য সেটা সকলেরই জানা তবে কিভাবে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারখানা চলে? একটি কারখানা করতে হলে সরকারের অনুমোদন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হওয়ার কথা তবে এত সব কিছু পরিচালিত হচ্ছে কিন্তু সরকার সেই দিকে খেয়াল না রেখে শুধু নিষেধাজ্ঞা দিলেই ব‍্যবহার কমবে না। গোড়া থেকেই নির্মূলের ব‍্যবস্থা করতে হবে।

 

আলোচনা শেষে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে জামাল খান মোড় পদক্ষীন করে পুনরায় চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এসে র‍্যালী সমাপ্ত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর..

চট্রগ্রামে প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার রোধে সচেতনতামূলক মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্লাস্টিক ব‍্যবহারে জনসচেতনতা মূলক মানববন্ধন। ছবি:সময়ের সন্ধানে

 

বিভাগীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রাম :

প্লাস্টিক হটাও, পরিবেশ বাচাঁও এই প্রতিপাদ‍্য নিয়ে কসমিক স্পোর্ট হেলথ ক্লাব ও এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে সরকারের প্লাস্টিক ব‍্যবহারে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্লাস্টিক ব‍্যবহারে জনসচেতনতা মূলক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

৩০ অক্টোবর রোজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে কসমিক স্পোর্টস এন্ড হেলথ ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হারিসা খানম সুখির পরিচালনায় এবং এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

 

উক্ত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ অধ‍্যাপক ড. ইদ্রিস আলী, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান নারী ও শিশু অধিকার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান রোটারিয়ান এস এম আজিজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন ওয়েলফেয়ার সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল মুন সহ প্রমূখ।

 

উক্ত মানববন্ধনে আলোচক বৃন্দরা বলেন, আগামী বিশ্ব কিংবা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে বাঁচাতে এখনি জলবায়ু প্রভাব মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

 

প্লাস্টিক দ্রব্যের ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন কাজে এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, বেশিরভাগ মানুষের কাছেই প্লাস্টিক দ্রব্য ছাড়া জীবনযাপন প্রায় অসম্ভব মনে হতে পারে। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর মুখে দেয়া চুষনি, দুধের বোতল থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন খাবার প্লেট, জগ, গ্লাস, থালা, বাটিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় জিনিসই তৈরি হয় প্লাস্টিক দিয়ে। কিন্তু এই প্লাস্টিক পরিবেশের ওপর কতটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা কি আমরা কখনো ভেবে দেখেছি? মোটেও না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিক বা পলিথিন যেভাবে মিশ্রিত হয়ে আছে তা বর্জন করা প্রায় অসম্ভব হতে পারে। প্লাস্টিক পন্যের বিপরীতে যে অন‍্য পণ‍্য ব‍্যবহার করবো সেই পণ‍্য সহজলভ্য নেই বা সচারাচরভাবে বাজারে আসছে না। সরকার পলিথিন বা প্লাস্টিক ব‍্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কিন্তু যেখান থেকে যে কারখানা থেকে এই পণ‍্যের উৎপাদন হয় সেগুলোর বিষয়ে তো নিষেধাজ্ঞা দেয় নি। একদিকে কারখানায় পলিথিনের উৎপাদন করে বাজারে ছাড়বে অন‍্য দিকে সাধারণ মানুষের উপর পলিথিন ব‍্যবহারে নিষিদ্ধ করবে তাতে কি ফলপ্রসূ হবে? যেকোনো একটি পণ‍্যের ব‍্যবহার বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেই পণ‍্যের কারখানা বন্ধ সহ তার বিপরীত পণ‍্যও বাজারে চাহিদা পরিমাণ রাখতে হবে। পলিথিন বা প্লাস্টিক পরিবেশ ক্ষতিকারক পণ‍্য সেটা সকলেরই জানা তবে কিভাবে সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারখানা চলে? একটি কারখানা করতে হলে সরকারের অনুমোদন পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র সহ অনেক কাগজপত্র প্রয়োজন হওয়ার কথা তবে এত সব কিছু পরিচালিত হচ্ছে কিন্তু সরকার সেই দিকে খেয়াল না রেখে শুধু নিষেধাজ্ঞা দিলেই ব‍্যবহার কমবে না। গোড়া থেকেই নির্মূলের ব‍্যবস্থা করতে হবে।

 

আলোচনা শেষে প্রেসক্লাব চত্বর থেকে জামাল খান মোড় পদক্ষীন করে পুনরায় চট্রগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এসে র‍্যালী সমাপ্ত হয়।