গাজীপুরের ০৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা। ছবি:সংগৃহীত
স্টাফ রিপোর্টার শ্রীপুর,গাজীপুর
হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এর আশঙ্কায় গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকায় তুসকা গ্রুপের অধীনে পরিচালিত ০৬ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ।গতকাল রবিবার সকালে কারখানার সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়।বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে তুসকা জিন্স লিমিটেড,তুসকা ট্রাইজারস লিমিটেড, তুসকা প্রসেসিং লিমিটেড,তুসকা জিন্স লিমিটেড, তুসকা ডেনিম লিমিটেড এবং তুসকা ওয়াশিং লিমিটেড,কারখানা কর্তৃপক্ষ নটিশে উল্লেখ করেন যে গত শনিবার থেকে কিছু অজ্ঞাত নামা বহিরাগত শ্রমিকদের কে নিয়ে কিছু অযৌক্তিক দাবিতে বেআইনি ধর্মঘট শুরু করে।কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ সকালে শ্রমিকরা হাজিরা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করে কারখানার প্রধান গেটে এসে জড়ো হয় এবং অস্থিরতা সৃষ্টি করে।কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার শ্রমিকদের কাজে আসার জন্য বললে শ্রমিকরা তা অমান্য করে এবং মারামারির মতো অসন্তোষজনক আচরণ করে।কারখানা কর্তৃপক্ষ জানাই শ্রমিকদের একটি অস্থিতিশীল আচরণ আরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান শ্রমিকদের এমন কর্মকান্ড বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ এর আওতায় অবৈধ ধর্মঘটহিসেবে গণ্য হবে।শ্রমিকদের এমন কর্মকান্ডে কর্মকরতা এবং কর্মচারী ও সম্পত্তি নিরাপত্তার হোমকির মুখে পড়ায় তুসকা গ্রুপ বাধ্য হয় সকাল ০৮ থেকে কোম্পানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হলো বিষয়ে মালিক পক্ষ জানিয়েছেন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজকে কারখানায় মারামারি এবং ভাঙচুর অগ্নি সংযোগ হতে পারে।তাই বাধ্য হয়ে কারখানা বন্ধ করতে হয়েছে এবং আরো জানান পরিস্থিতি নিরাপদ হলে কারখানা পুনরায় খোলার সিদ্ধান্ত নেবেন।
শ্রমিকদের দাবি টিফিন বিল নাইট বিল সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উথাপন করে ছিলেন।তবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই ধর্মঘটে যাওয়ার বিতর্কিত হয়ে উঠেছে।গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২ কোনাবাড়ি জুনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আবু তালেব বলেন শ্রমিকদের বেশ কিছু দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও শ্রমিকরা তাদের সাথে একমত পোষণ করতে পারেনি যার কারনে কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ গতকাল থেকে কারখানা কর্তৃপক্ষ বন্ধ ঘোষণা জানিয়ে বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়।