
আহত-পুলিশ সদস্য (এএসআই) আবুল হোসেন ছবি:সংগৃহীত।
শাহাদত হোসেন গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি মুদিদোকানে চুরির ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল দিলেও পুলিশ দেরিতে পৌঁছেছে অভিযোগ তুলে পুলিশ সদস্যের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন ওই দোকানি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানিকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
(১৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের শৈলাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পুলিশ সদস্য মো. আবুল হোসেন (৩৫) শ্রীপুর থানাধীন মাওনা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত রয়েছেন।
অভিযুক্ত দোকানি মো. রাশেদ খান মেনন (২৭) উপজেলার শৈলাট গ্রামের মো. নাসির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় শৈলাট বাজারে একটি মুদিদোকান চালান।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে,আহত পুলিশ সদস্য আবুল হোসেন দীর্ঘদিন শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। এলাকার সাধারণ মানুষের সাঙ্গে সব সময় ভালো ব্যবহার করে থাকেন।
মাওনা চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. হাসমতউল্লাহ জানান, সকালে শ্রীপুর থানার ওসি একটি নম্বর দিয়ে বলেন যোগাযোগ করতে। যোগাযোগ করলে মুদিদোকানে চুরির ঘটনা জানা যায়। এরপর ফাঁড়ির এএসআই আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরপরই দোকানি পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান। দেরিতে পৌঁছার কারণ জানতে চান। এরপর ভুয়া পুলিশ অপবাদ দিয়ে দোকানে থাকা লোহার শিকল দিয়ে সজোরে আঘাত করে আবুল হোসেনের মাথা ফাটিয়ে দেন। এ সময় ধস্তাধস্তিতে সঙ্গে থাকা কনস্টেবলও আহত হন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত দোকানিকে আটক করে। এ ঘটনায় দোকানির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা,মাওনা হাইওয়ে ফাঁড়ির ওসি সাহেব প্লিজ, আপনি আপনার পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করুন! আপনার জন্য হেনস্তা হচ্ছে সাধারণ পুলিশ সদস্য।মাওনা চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হাসমত উল্লাহ দায়িত্ব অবহেলা করেছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক নয়ন কুমার কর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ কেন দেরিতে পৌঁছেছে, এমন অপবাদে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানিকে আটক করে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, পুলিশ খবর পেয়ে যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দেরিতে পৌঁছার অভিযোগটি সঠিক নয়।