ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম ::
রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাগমারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহক মৃত্যুতে নমিনীকে বীমার চেক হস্থান্তর গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনা ৪ ঘণ্টায়,শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশের স্কুলের ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে: শিক্ষা সচিব শিবগঞ্জে শোলা গাড়ি সাহা লাস্কর জিলানী ( রা) দাখিল মাদ্রাসা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বর্ণাঢ্য দিবস উদযাপিত চট্টগ্রামে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ইসরায়েলের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা!

  • ONLINE DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 100

ইসরায়েলি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত করেছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার সময় একটি রকেট ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা করতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষতি না হলেও এগুলোর কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে গিয়েছিল। মধ্য ইসরায়েলের সেদত মিচা নামের স্থানে এ হামলা চালায় হামাস। জায়গাটিতে আরও অনেক ধরনের স্পর্শকাতর অস্ত্র মজুদ করা ছিল বলে জানায় নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ইসরায়েল তাদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র মজুদের ব্যাপারে কখনোই খোলাসা করে কিছু বলেনি। তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেন দাবি করেছেন, ইসরায়েলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।

ক্রিস্টেনসেন আরও বলেন, ওয়ারহেডগুলো সম্ভবত ঘাঁটিটি থেকে দূরে একটি পৃথক স্থানে রাখা হয়েছিল। ফলে এ আক্রমণের সময় হুমকির মুখে পড়েনি।

ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের সম্ভাব্য জায়গায় হামাসের এ হামলার খবর এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। তবে এটা অস্পষ্ট হামাসের যোদ্ধারা জানত কিনা যে তারা কোথায় হামলা করেছে। কেননা ঘাঁটিটি একটি সাধারণ সামরিক স্থাপনার মত দেখতে। এ বিষয়ে হামাস কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় সাত অক্টোবরের হামলায় এটা স্পষ্ট- দেশটির নিবিড়ভাবে সংরক্ষিত অস্ত্রগুলো অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বড় হুমকিতে রয়েছে।

সতর্কীকরণ অ্যালার্ম ডেটা অনুসারে, সেদত মিচার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রকেট হামলা চলে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে কতগুলো রকেট আটকানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, কিছু রকেট আয়রোনডোম এর সুরক্ষা ভেদ করে ঢুকে পড়ে এবং এক সময়ে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ফুরিয়ে যায়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এ অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে দেখা গেছে ইসরায়েল সেদত মিচার হামলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং রকেট হামলার স্থানের আশেপাশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস সেদত মিচাতে আক্রমণের ফলে সৃষ্ট আগুন শনাক্ত করতে নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে। সেখানে দেখা গেছে অন্তত ২০০৪ সাল থেকে এ ঘাঁটিতে একই মাত্রার কোনো আগুন লাগেনি।

আক্রমণের আরও প্রমাণ পাওয়া যায় স্যাটেলাইট চিত্র, রকেট অ্যালার্ম রেকর্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে। এতে রকেটের মাধ্যমে সৃষ্ট আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টাও প্রকাশ পেয়েছে।

গাজার ২৫ মাইল উত্তর-পূর্বে এবং জেরুজালেমের ১৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত এ ঘাঁটির সীমানায় রকেট হামলা চালানো হয়।

৭ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জায়গায়, একটি বড় রাডার সিস্টেমে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাটারি রাখার স্থানে রকেট হামলা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে দ্রুত ঘন, শুকনো গাছপালাগুলোতে আগুন শুরু করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

ইসরায়েলের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা!

আপডেট সময় : ১১:৫৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত করেছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার সময় একটি রকেট ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা করতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষতি না হলেও এগুলোর কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে গিয়েছিল। মধ্য ইসরায়েলের সেদত মিচা নামের স্থানে এ হামলা চালায় হামাস। জায়গাটিতে আরও অনেক ধরনের স্পর্শকাতর অস্ত্র মজুদ করা ছিল বলে জানায় নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ইসরায়েল তাদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র মজুদের ব্যাপারে কখনোই খোলাসা করে কিছু বলেনি। তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেন দাবি করেছেন, ইসরায়েলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।

ক্রিস্টেনসেন আরও বলেন, ওয়ারহেডগুলো সম্ভবত ঘাঁটিটি থেকে দূরে একটি পৃথক স্থানে রাখা হয়েছিল। ফলে এ আক্রমণের সময় হুমকির মুখে পড়েনি।

ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের সম্ভাব্য জায়গায় হামাসের এ হামলার খবর এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। তবে এটা অস্পষ্ট হামাসের যোদ্ধারা জানত কিনা যে তারা কোথায় হামলা করেছে। কেননা ঘাঁটিটি একটি সাধারণ সামরিক স্থাপনার মত দেখতে। এ বিষয়ে হামাস কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় সাত অক্টোবরের হামলায় এটা স্পষ্ট- দেশটির নিবিড়ভাবে সংরক্ষিত অস্ত্রগুলো অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বড় হুমকিতে রয়েছে।

সতর্কীকরণ অ্যালার্ম ডেটা অনুসারে, সেদত মিচার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রকেট হামলা চলে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে কতগুলো রকেট আটকানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, কিছু রকেট আয়রোনডোম এর সুরক্ষা ভেদ করে ঢুকে পড়ে এবং এক সময়ে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ফুরিয়ে যায়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এ অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে দেখা গেছে ইসরায়েল সেদত মিচার হামলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং রকেট হামলার স্থানের আশেপাশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস সেদত মিচাতে আক্রমণের ফলে সৃষ্ট আগুন শনাক্ত করতে নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে। সেখানে দেখা গেছে অন্তত ২০০৪ সাল থেকে এ ঘাঁটিতে একই মাত্রার কোনো আগুন লাগেনি।

আক্রমণের আরও প্রমাণ পাওয়া যায় স্যাটেলাইট চিত্র, রকেট অ্যালার্ম রেকর্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে। এতে রকেটের মাধ্যমে সৃষ্ট আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টাও প্রকাশ পেয়েছে।

গাজার ২৫ মাইল উত্তর-পূর্বে এবং জেরুজালেমের ১৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত এ ঘাঁটির সীমানায় রকেট হামলা চালানো হয়।

৭ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জায়গায়, একটি বড় রাডার সিস্টেমে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাটারি রাখার স্থানে রকেট হামলা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে দ্রুত ঘন, শুকনো গাছপালাগুলোতে আগুন শুরু করে।