[caption id="attachment_1568" align="alignnone" width="974"] ছবি:সংগৃহীত[/caption]
চলতি বছরের ৪ মে থেকে ‘দূরত্বভিত্তিক রেয়াত’ প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এর আগে কোনও যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) গণমাধ্যমকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।”
ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।”
রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়।, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের ওপরে ৩০ শতাংশ নির্ধারিত আছে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, আগামী মাসের মে মাসের ৪ তারিখ থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে একশ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করেন, তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৎপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।
এর আগে গেল ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন।
সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন ওঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।