ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম ::
রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাগমারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহক মৃত্যুতে নমিনীকে বীমার চেক হস্থান্তর গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনা ৪ ঘণ্টায়,শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশের স্কুলের ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে: শিক্ষা সচিব শিবগঞ্জে শোলা গাড়ি সাহা লাস্কর জিলানী ( রা) দাখিল মাদ্রাসা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বর্ণাঢ্য দিবস উদযাপিত চট্টগ্রামে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ফেসবুকে পরিচয় অতঃপর বিয়ে ভয়ংকর প্রতারণায় প্রবাসী স্বামীর সর্বস্ব লুটে নিয়ে স্ত্রী উধাও

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

চট্টগ্রামের তহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ছিলেন প্রবাসে, প্রবাসে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় শান্তা আক্তার নিতু নামের এক নারীর সাথে এই পরিচয় গড়াই বিয়ে পর্যন্ত ভুক্তভোগী তহিদুল বিয়ের কিছুদিন পরেই বুঝতে পারেন এটি বিয়ে নয় বরং প্রতারণা।

প্রবাসে থাকাকালীন ফেইসবুকে সম্পর্ক হয় শান্তা আক্তার নিতু এবং তহিদুল তিন মাস তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলে তার নিতুর পরিবার তার বাবা এবং মা মিলে ছেলে থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি ছেলের পরিবার না জানলেও মেয়ের বাবা মা জানতো।

একপর্যায়ে মেয়ে দেখতে কেমন তহিদ তার ছোট ভাইকে পাঠায়, কিন্তু মেয়েকে তার ভাই পছন্দ না করলে পরে মেয়ের মা বাবা উভয়ের পরার্মশে মেয়ে শান্তা আক্তার নিতু ছেলে তহিদ কে চাপ দেয় তার পরিবারকে ম্যানেজ করতে কিন্তু ছেলের ছোট ভাই বন্ধু পছন্দ না করায় তার মা বাবা রাজি ছিলো না পরে মেয়ে ছেলেকে পরামর্শ দেয় যেভাবে হোক রাজি করাতে পরে ছেলে তহিদ তার ছোট বোন দিয়ে কয়েকবার চেষ্টা চালাই বাট তার মা বা হা বা না কিছু বলেনি পরে মেয়ে বাধ্য করায় ছেলে একপ্রকার জোর করে তবুও তহিদের বাবা মা ছেলে মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে এমন কিছু বলেনি।

মেয়ে ছেলেকে চাপ দেয় অতঃপর অনেক চাপাচাপির পর মেয়ের মা বাবা ছেলে তহিদের মা বাবাকে কল দিয়ে রাজি করাতে সক্ষম হয়। মেয়ের মা তহিদকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলে, মেয়ের বাবা মা একাধিক বার লোক পাঠাই কিন্তু তারা পরিবার ভালো হওয়ায় সমাজের লোকজন সবাই পরিবারকে ভালো বলে জানায়।এবার ছেলে দুবাই থেকে দেশে আসার পালা তাও মেয়ের পরিবারের তাড়া দুই চার দিন তহিদ ফ্লাইট করতে দেরি হওয়াতে মেয়ের বাবা তাকে যা তা শুনায় ছেলে দেশে আসলে পরে একদিন পর বিয়ে তাইফ রেষ্টুরেন্টে সম্পন্ন করা হয়।

মেয়ের বাসায় ফুলসজ্জা হয় এর পর দিন হঠাৎ তহিদের সাথে প্রতারণা করা তিন বছর আগে নিতুর বাসায় হাজির হয়।এই মেয়ের চার সংসার আছে এবং তার এগারো বছরের বাচ্চা আছে।তহিদ মেয়ের মিষ্টি কথাই ফাঁদে পরে গেছে সে এসব কিছু জানতো না পরে দেশে আসলে মেয়েটি তহিদের সাথে প্রতারণা করে আরেকটা বিয়ে করে।

ছেলেটির নাম দিল মোহাম্মদ পরে রুমু নামক প্রতারক মহিলাটিকে তহিদ হাতে নাতে ধরে পরে ডাক্তার তহিদ ওখান থেকে বেরিয়ে আসে এবং ডিভোর্স দিয়ে দেয়।কিন্তু মেয়ের সংসার থাকা সত্ত্বেও তার পরিবার অবিবাহিত প্রবাসী তহিদের সাথে জোরপূর্বক বিয়ের সম্পন্ন করে।এই বিষয়ে তহিদের মা বাবা কিছু জানতো না।

নিতু আক্তার শান্তার বিয়ে হয় দুই পরিবার মিলে এবং হাসিখুশি ভাবে কিন্তু প্রতারক রুমু অর্থ্যাৎ যাকে দিয়ে তার বাবা মা ব্যবসা করায় এবং আগে তিন বিয়ে হয়েছিলো ও এগারো বছরের বাচ্চাও আছে ওর কারণে নিতু এবং তহিদের পরিবার নিতু গ্রহণ করতে অসম্মতি প্রকাশ করে।

পরে রাতে ১১টায় তহিদের বাবা মাকে বের করে দেয় নিতুর পরিবার এবং অমানবিক আচরণ করেন।এর আগে নিতুর দুসম্পর্কের চাচা উদয় হয়।বুদ্ধি পরামর্শ করে তহিদকে বাসা থেকে বের করে দেয় হয়।

তহিদ এখন কোথায় আছে তার পরিবার জানে না।তার বৃদ্ধ মা বাবা প্রতিনিয়ত ছেলের জন্য কানা করে।যেহেতু ছেলে নিতুর এবং নিতুর বাবা মার বাসায় ছিলো এবং সেখানে থেকে কৌশলে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।তহিদের বিয়ে বিষয়টি অনেক কষ্ট পায় তার পরিবার।

এটি তহিদের পরিবারের দাবি তারা কৌশলে ছেলেকে ঘুম করেছে।তারা তাদের ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।এই বিষয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তহিদের পরিবার মেয়েকে দিয়ে ব্যবসা করা এই পরিবারের পেশা।তহিদের পরিবারের সাথে এরা বিয়ের নামে অভিনব ভাবে প্রতারণা করছে।

 

থানায় করা অভিযোগ,

বাদী: ফোরকান উদ্দিন (৫৮), পিতা- মৃত হাসানুজ্জামান, মাতা- সাজেদা খাতুন, সাং- মনার বাড়ী, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়য়ী, থানা- স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।

বিবাদী: ১) ইকবাল হোসেন (৩৫), পিতা- লুৎফুর রহমান, মাতা- অজ্ঞাত, সাং- রৌশন আলি মুন্সির বাড়ী, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়ী, থানা- স্বন্ন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।

ঘটনাস্থল সাং- ঘাট মাঝির হাট পশ্চিম পাশে, বিবাদীর নিজ অফিস, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়ী, থানা- স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। তারিখ: ০৬/১১/২০২৩ইং, রোজ সোমবার আনুমানিক রাত ১০:০০ ঘটিকায়।

ফোরকান উদ্দিন (৫৮), পিতা- মৃত হাসানুজ্জামান, মাতা- সাজেদা খাতুন, সাং- মনার বাড়ী, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়ী, থানা- স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। আমি একজন দেশের আইন কানুন এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক। উক্ত বিবাদী ও আমি একই এলাকার বাসিন্দ হই।

কিন্তু বিবাদীগণ উশৃঙ্খল ব্যক্তি এবং দেশের আইনকানুনের কোন তোয়াক্যা বা পরোয়া করেনা ও এলাকার প্রভাব শালী স্থানীয় রাজনীতিক নেতা হই।

তার সরকার পক্ষের দলের পদ থাকায় এলাকায় উক্ত পদ ব্যবহার করে এলাকার মধ্যে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে চলে ও নানা রকম অরাজকতা চালিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করে। এলাকার সকল বিচার সালিশীতে সে প্রভাব খাটিয়ে টাকা পয়সা নেয় এবং যেকোন জায়গা জমি বেচা কেনায় সে নাক গলায় এবং সেখানে মানুষের কাছ থেকে টাকা দানি করে। গত ০৬/১১/২০২৩ইং তারিখে জৈনক গোলাম মোস্তফা ও মোশারফ হোসেনের কাছে ২৪.০০ শতক জায়গা আমি ১১,০০,০০০/- (এগারো লক্ষ) টাকা বিনিময়ে বিক্রি করি। উক্ত বেছ্য বিক্রি বৈঠকে এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গসহ উপরোক্ত চাঁদাবাজ বিবাদী উপস্থিত ছিলো।

যে জায়গাটি বিক্রি করছি সে জায়গার ক্রেতার সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ আইনী লড়াই চলে। আইনী লড়াইয়ে এক পর্যায়ে তার সাথে আমার একটি আপোষ হই। উক্ত আপোষে সার্বিক সহযোগিতা হিসেবে উক্ত বিবেদী ছিলেন। কিন্তু সার্বিক সহযোগীতার বিনিময়ে তাকে আমি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু গত ০৬/১১/২০২৩ইং তারিখে আমি জমি বিক্রয় করার পর তার অফিসে আমাকে কৌসলে আটকিয়ে ফেলে এবং বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অপরাগ হলে সে আমাকে তার অফিসে তালাবদ্ধ করে ফেলে।

আমাকে তালাবদ্ধ করে আমার পরিবারকে মোবাইলে কল করে বলে আমাকে অপহরণ করেছে যদি তার দাবি করা টাকা সময়মতো না দিয় তাহলে তার ব্যবহৃত অবৈধ বন্ধুক দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলবে। তার হাতে বন্ধুক দেখে আমি ভীতস্থ হয়ে পড়ি এবং, নিজের জান মাল তার থেকে রক্ষার জন্য তাকে আমি ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দিয়ে কোনমতো হাতে পায়ে ধরে বেঁচে ফিরি।

পরবর্তিতে দার কিছু সময় পর সে আমাকে মোবাইলে আমার হুমকি প্রদান করে ঐ ১১,০০,০০০/- (এগারো লক্ষ) টাকা দেওয়া ছাড়া তুই স্বন্দ্বীপে থাকতে পারবি না। সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে তারপর তুই স্বন্দ্বীপে থাকতে পারবি। এরপর আমি নিজের ও পরিবারের জান মালের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি ভোরে লুকিয়ে স্বন্দ্বীপ ত্যাগ করি। বর্তমানে আমি সারাদিন আজ চট্টগ্রাম শহরে না খেয়ে অনহারে পড়ে আছি।

উক্ত জায়গা আমি বিক্রি করেছি আমার সন্তানকে একটি ব্যবসায় দেওয়ার জন্য। উক্ত টাকা ছাড়া আমার আর কোন সম্পত্তি নাই। আমার জানমালের নিরাপত্তা ও আমাকে জিম্মি করে দুই লক্ষ টাকা উদ্ধারের জন্য নিরুপায় হয়ে আপনার থানায় উপস্থিত হইয়ে আমি একটি অভিযোগ দায়ের করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

ফেসবুকে পরিচয় অতঃপর বিয়ে ভয়ংকর প্রতারণায় প্রবাসী স্বামীর সর্বস্ব লুটে নিয়ে স্ত্রী উধাও

আপডেট সময় : ০৩:১৯:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের তহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ছিলেন প্রবাসে, প্রবাসে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় শান্তা আক্তার নিতু নামের এক নারীর সাথে এই পরিচয় গড়াই বিয়ে পর্যন্ত ভুক্তভোগী তহিদুল বিয়ের কিছুদিন পরেই বুঝতে পারেন এটি বিয়ে নয় বরং প্রতারণা।

প্রবাসে থাকাকালীন ফেইসবুকে সম্পর্ক হয় শান্তা আক্তার নিতু এবং তহিদুল তিন মাস তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলে তার নিতুর পরিবার তার বাবা এবং মা মিলে ছেলে থেকে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি ছেলের পরিবার না জানলেও মেয়ের বাবা মা জানতো।

একপর্যায়ে মেয়ে দেখতে কেমন তহিদ তার ছোট ভাইকে পাঠায়, কিন্তু মেয়েকে তার ভাই পছন্দ না করলে পরে মেয়ের মা বাবা উভয়ের পরার্মশে মেয়ে শান্তা আক্তার নিতু ছেলে তহিদ কে চাপ দেয় তার পরিবারকে ম্যানেজ করতে কিন্তু ছেলের ছোট ভাই বন্ধু পছন্দ না করায় তার মা বাবা রাজি ছিলো না পরে মেয়ে ছেলেকে পরামর্শ দেয় যেভাবে হোক রাজি করাতে পরে ছেলে তহিদ তার ছোট বোন দিয়ে কয়েকবার চেষ্টা চালাই বাট তার মা বা হা বা না কিছু বলেনি পরে মেয়ে বাধ্য করায় ছেলে একপ্রকার জোর করে তবুও তহিদের বাবা মা ছেলে মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে এমন কিছু বলেনি।

মেয়ে ছেলেকে চাপ দেয় অতঃপর অনেক চাপাচাপির পর মেয়ের মা বাবা ছেলে তহিদের মা বাবাকে কল দিয়ে রাজি করাতে সক্ষম হয়। মেয়ের মা তহিদকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে কথা বলে, মেয়ের বাবা মা একাধিক বার লোক পাঠাই কিন্তু তারা পরিবার ভালো হওয়ায় সমাজের লোকজন সবাই পরিবারকে ভালো বলে জানায়।এবার ছেলে দুবাই থেকে দেশে আসার পালা তাও মেয়ের পরিবারের তাড়া দুই চার দিন তহিদ ফ্লাইট করতে দেরি হওয়াতে মেয়ের বাবা তাকে যা তা শুনায় ছেলে দেশে আসলে পরে একদিন পর বিয়ে তাইফ রেষ্টুরেন্টে সম্পন্ন করা হয়।

মেয়ের বাসায় ফুলসজ্জা হয় এর পর দিন হঠাৎ তহিদের সাথে প্রতারণা করা তিন বছর আগে নিতুর বাসায় হাজির হয়।এই মেয়ের চার সংসার আছে এবং তার এগারো বছরের বাচ্চা আছে।তহিদ মেয়ের মিষ্টি কথাই ফাঁদে পরে গেছে সে এসব কিছু জানতো না পরে দেশে আসলে মেয়েটি তহিদের সাথে প্রতারণা করে আরেকটা বিয়ে করে।

ছেলেটির নাম দিল মোহাম্মদ পরে রুমু নামক প্রতারক মহিলাটিকে তহিদ হাতে নাতে ধরে পরে ডাক্তার তহিদ ওখান থেকে বেরিয়ে আসে এবং ডিভোর্স দিয়ে দেয়।কিন্তু মেয়ের সংসার থাকা সত্ত্বেও তার পরিবার অবিবাহিত প্রবাসী তহিদের সাথে জোরপূর্বক বিয়ের সম্পন্ন করে।এই বিষয়ে তহিদের মা বাবা কিছু জানতো না।

নিতু আক্তার শান্তার বিয়ে হয় দুই পরিবার মিলে এবং হাসিখুশি ভাবে কিন্তু প্রতারক রুমু অর্থ্যাৎ যাকে দিয়ে তার বাবা মা ব্যবসা করায় এবং আগে তিন বিয়ে হয়েছিলো ও এগারো বছরের বাচ্চাও আছে ওর কারণে নিতু এবং তহিদের পরিবার নিতু গ্রহণ করতে অসম্মতি প্রকাশ করে।

পরে রাতে ১১টায় তহিদের বাবা মাকে বের করে দেয় নিতুর পরিবার এবং অমানবিক আচরণ করেন।এর আগে নিতুর দুসম্পর্কের চাচা উদয় হয়।বুদ্ধি পরামর্শ করে তহিদকে বাসা থেকে বের করে দেয় হয়।

তহিদ এখন কোথায় আছে তার পরিবার জানে না।তার বৃদ্ধ মা বাবা প্রতিনিয়ত ছেলের জন্য কানা করে।যেহেতু ছেলে নিতুর এবং নিতুর বাবা মার বাসায় ছিলো এবং সেখানে থেকে কৌশলে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।তহিদের বিয়ে বিষয়টি অনেক কষ্ট পায় তার পরিবার।

এটি তহিদের পরিবারের দাবি তারা কৌশলে ছেলেকে ঘুম করেছে।তারা তাদের ছেলেকে ফিরে পেতে চাই।এই বিষয় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তহিদের পরিবার মেয়েকে দিয়ে ব্যবসা করা এই পরিবারের পেশা।তহিদের পরিবারের সাথে এরা বিয়ের নামে অভিনব ভাবে প্রতারণা করছে।

 

থানায় করা অভিযোগ,

বাদী: ফোরকান উদ্দিন (৫৮), পিতা- মৃত হাসানুজ্জামান, মাতা- সাজেদা খাতুন, সাং- মনার বাড়ী, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়য়ী, থানা- স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।

বিবাদী: ১) ইকবাল হোসেন (৩৫), পিতা- লুৎফুর রহমান, মাতা- অজ্ঞাত, সাং- রৌশন আলি মুন্সির বাড়ী, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়ী, থানা- স্বন্ন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম।

ঘটনাস্থল সাং- ঘাট মাঝির হাট পশ্চিম পাশে, বিবাদীর নিজ অফিস, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়ী, থানা- স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। তারিখ: ০৬/১১/২০২৩ইং, রোজ সোমবার আনুমানিক রাত ১০:০০ ঘটিকায়।

ফোরকান উদ্দিন (৫৮), পিতা- মৃত হাসানুজ্জামান, মাতা- সাজেদা খাতুন, সাং- মনার বাড়ী, গাছুয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ডাকঘর- গাছুয়ী, থানা- স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম। আমি একজন দেশের আইন কানুন এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল নাগরিক। উক্ত বিবাদী ও আমি একই এলাকার বাসিন্দ হই।

কিন্তু বিবাদীগণ উশৃঙ্খল ব্যক্তি এবং দেশের আইনকানুনের কোন তোয়াক্যা বা পরোয়া করেনা ও এলাকার প্রভাব শালী স্থানীয় রাজনীতিক নেতা হই।

তার সরকার পক্ষের দলের পদ থাকায় এলাকায় উক্ত পদ ব্যবহার করে এলাকার মধ্যে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে চলে ও নানা রকম অরাজকতা চালিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করে। এলাকার সকল বিচার সালিশীতে সে প্রভাব খাটিয়ে টাকা পয়সা নেয় এবং যেকোন জায়গা জমি বেচা কেনায় সে নাক গলায় এবং সেখানে মানুষের কাছ থেকে টাকা দানি করে। গত ০৬/১১/২০২৩ইং তারিখে জৈনক গোলাম মোস্তফা ও মোশারফ হোসেনের কাছে ২৪.০০ শতক জায়গা আমি ১১,০০,০০০/- (এগারো লক্ষ) টাকা বিনিময়ে বিক্রি করি। উক্ত বেছ্য বিক্রি বৈঠকে এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গসহ উপরোক্ত চাঁদাবাজ বিবাদী উপস্থিত ছিলো।

যে জায়গাটি বিক্রি করছি সে জায়গার ক্রেতার সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ আইনী লড়াই চলে। আইনী লড়াইয়ে এক পর্যায়ে তার সাথে আমার একটি আপোষ হই। উক্ত আপোষে সার্বিক সহযোগিতা হিসেবে উক্ত বিবেদী ছিলেন। কিন্তু সার্বিক সহযোগীতার বিনিময়ে তাকে আমি ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু গত ০৬/১১/২০২৩ইং তারিখে আমি জমি বিক্রয় করার পর তার অফিসে আমাকে কৌসলে আটকিয়ে ফেলে এবং বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অপরাগ হলে সে আমাকে তার অফিসে তালাবদ্ধ করে ফেলে।

আমাকে তালাবদ্ধ করে আমার পরিবারকে মোবাইলে কল করে বলে আমাকে অপহরণ করেছে যদি তার দাবি করা টাকা সময়মতো না দিয় তাহলে তার ব্যবহৃত অবৈধ বন্ধুক দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলবে। তার হাতে বন্ধুক দেখে আমি ভীতস্থ হয়ে পড়ি এবং, নিজের জান মাল তার থেকে রক্ষার জন্য তাকে আমি ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দিয়ে কোনমতো হাতে পায়ে ধরে বেঁচে ফিরি।

পরবর্তিতে দার কিছু সময় পর সে আমাকে মোবাইলে আমার হুমকি প্রদান করে ঐ ১১,০০,০০০/- (এগারো লক্ষ) টাকা দেওয়া ছাড়া তুই স্বন্দ্বীপে থাকতে পারবি না। সম্পূর্ণ টাকা দিয়ে তারপর তুই স্বন্দ্বীপে থাকতে পারবি। এরপর আমি নিজের ও পরিবারের জান মালের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি ভোরে লুকিয়ে স্বন্দ্বীপ ত্যাগ করি। বর্তমানে আমি সারাদিন আজ চট্টগ্রাম শহরে না খেয়ে অনহারে পড়ে আছি।

উক্ত জায়গা আমি বিক্রি করেছি আমার সন্তানকে একটি ব্যবসায় দেওয়ার জন্য। উক্ত টাকা ছাড়া আমার আর কোন সম্পত্তি নাই। আমার জানমালের নিরাপত্তা ও আমাকে জিম্মি করে দুই লক্ষ টাকা উদ্ধারের জন্য নিরুপায় হয়ে আপনার থানায় উপস্থিত হইয়ে আমি একটি অভিযোগ দায়ের করছি।