পরীক্ষায় বেশি নম্বর পেতে করতে হবে যৌন সম্পর্ক। ছয় বছর আগে প্রকাশ্যে আসা এমনই একটি যৌন কেলেঙ্কারির রায় দিয়েছে ভারতের তামিলনাড়ুর আদালত। এতে ছাত্রীদের কাছে যৌন সুবিধা চাওয়ার দায়ে এক সহকারী অধ্যাপককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে করা হয়েছে ২.৪২ লাখ রুপি জরিমানাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য ছাত্রীদের কাছে যৌন সুবিধা চাওয়া নির্মলা দেবী মাদুরাই কামরাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ দেবঙ্গ আর্ট কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। গত সোমবার দেওয়া আদালতের রায়ে তাকে পাঁচ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এর মধ্যে চার নারীকে পাচারের চেষ্টার অভিযোগও রয়েছে। মামলায় একজন সহকারী অধ্যাপকসহ আরও দুজন খালাস পেয়েছে।
একটি অডিও টেপে নির্মলা দেবীকে বলতে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের বদলে পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর পাওয়া যাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যৌন কেলেঙ্কারির মামলায় শুনানি শেষ করে শ্রীভিল্লিপুথুর মহিলা আদালত নির্মলা দেবীকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই কেলেঙ্কারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ভি মুরুগন এবং গবেষক এস কারুপ্পাসামিও জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। যদিও প্রমাণের অভাবে তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন বিচারক টি বাগভাথিয়াম্মাল। মামলায় মোট ১০৪ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল ২০১৮ সালের এপ্রিলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অডিও টেপে নির্মলা দেবীকে বলতে শোনা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কের বদলে পরীক্ষায় ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত নম্বর পাওয়া যাবে। এছাড়া পাওয়া যাবে অর্থও। ছাত্রীরা অবশ্য এমন প্রস্তাবে রাজি হননি।
এ নিয়ে নির্মলা দেবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন চার ছাত্রী। নির্মলা সেই সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিন্তু ঘটনাটি কেন্দ্র করে তামিলনাড়ুতে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর অভ্যন্তরীণ তদন্ত শেষে নির্মলা দেবীকে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।