ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৃথক ৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৭জন নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও দুজন।শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাটিকামারি ইউনিয়নের কোহলদিয়া গ্রামের আবুল কাশেম শিকদার (৪০), তার ভাই নাজমুল শিকদার (৩৭) ও ছেলে মোরসালিন শিকদার (৮)। অন্যরা হলেন, একই উপজেলার ভাই ও বোন দিঘীরপাড় এলাকার চর গ্রামের সূর্য ফকিরের ছেলে তুষার ফকির (২২) ও মেয়ে লাজিনা আক্তার (৩২), উপজেলার খামিনারবাগ গ্রামের শাহাদাত হোসেনের কলেজপড়ুয়া কন্যা শ্রাবন্তী আক্তার এবং মানিকদাহ ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের শেখ রজব আলী স্ত্রী রিজিয়া বেগম (৬৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী নামক বাস স্ট্যান্ডে ইট ভর্তি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কাশেম শিকদার, নাজমুল শিকদার ও মোরসালিন শিকদারের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, শনিবার (১১ মে) সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার কৈডুবি সদরদী নামক স্থানে হানিফ পরিবহনের একটা বাসের সাথে ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে শ্রাবন্তি আক্তার (১৭) নামের ওই কলেজছাত্রী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন ইজিবাইকের আরও দুই যাত্রী।
এর আগে, শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার চরবল্লবদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে অজ্ঞাত একটি পরিবহন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে আপন দুই ভাই-বোন তুষার ও লাজিনার মৃত্যু হয়। এছাড়া, ভাঙ্গা উপজেলা পুকুরিয়া আটরশি ফিডার সড়কে রাজাপুর নামকস্থানে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ যায় রিজিয়া বেগম নামের এক নারীর।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই আব্দুল বাকি জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত বারোটা থেকে শনিবার বেলা বারোটা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার অধীনে চারটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিয়ত হয়েছে।