ছবি:সংগৃহীত
সারা দেশে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে দুইজনকে নিহত এবং চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত ২০০টি গাছ অপসারণ করেছে তারা। এ ছাড়া ঝড়ে আক্রান্ত ১৬৩ জনকে বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ মে) ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের চন্দননগরে দেয়াল ধসে নিহত এক জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয়। বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। বরিশাল বিভাগের বাউফলে গাছচাপায় নিহত আরেকজনকে উদ্ধার করা হয়। তার নাম মো. আব্দুল করিম খান। বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। এ ছাড়া আহত ২ জনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে উল্টে যাওয়া গাড়িতে চাপা পড়া দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের একজন পুরুষ যার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। অপরজন মহিলা তার বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। আহতদের নাম জানা যায়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ২টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৫৫টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ১০টি গাছ বাসা বাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা থেকে ১৮টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে আরও ৪১টি গাছ রাস্তা থেকে অপসারণ করা হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক মোট গাছ অপসারণ করা হয়েছে ১৫৫টি।
বরিশালের গলাচিপা ফায়ার স্টেশনে মোট ১২০ জনকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে, এখনো সেখানে ৬৩ জন অবস্থান করছেন। এ ছাড়া একই বিভাগের বরগুনার পাথরঘাটা ফায়ার স্টেশনে ১৭ জন, ভোলা ফায়ার স্টেশনে ২০ জন এবং ইন্দুরকানি ফায়ার স্টেশনে ৬ জনকেসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে মোট ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।