ছবি:সময়ের সন্ধানে
বরগুনার পাথরঘাটায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’পক্ষের মারামারিতে প্রার্থীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এদের মধ্যে ৪ জনকে উন্নাত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী। ৩০ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পার্থী মোস্তফা গোলাম কবির কাপ-প্রিচ মার্কা ও এনামুল হোসাইনের দোয়াত-কলম মার্কার সমার্থকদের মধ্যে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ও পাথরঘাটা হাসপাতালে দফায় দফায় এই সংঘর্ষ সংগঠিত হয়। পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আহতরা হলেন, দেয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী এনামুল হোসাইন, যুবলীগ নেতা ফয়সাল আহম্মেদ, মোঃ সোলাইমান, শাহ আলী, সবুজ গাজী,তানভীর আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আহাদ, মোঃ রাকিব ও রুবেল মিয়া, হাসান রাব্বি।
আটকৃতরা হলেন ১)নাঈমুল ইসলাম (২৯), পিতা- ইসমাইল খান, সাং- বাইপেল পোঃ সাভার ক্যান্টনমেন্ট
থানা-আশুলিয়া, জেল- ঢাকা, ২/ মোঃ মনির হোসেন (৩০), পিতা- আয়নাল খন্দকার, সাং- নিজলাঠিমারা, ৩) মোঃ মিজান(২৫), পিতা- মোয়াজ্জেম হোসেন, সাং-ছোট টেংরা, ৪) মোঃ ইব্রাহীম(২৫), পিতা-আঃ ছালাম হাং, সাং-তাফালবাড়িয়া, ৫) শাহাদাৎ(২৪) পিতা-মোঃ ইসমাইল হাওলাদার, সাং- তাফালবাড়িয়া,
৬) আবু মুছা(২৬), পিতা-মোঃ জাকির হোসেন, সাং- ছহেরাবাদ, ৭) মোঃ হাবিবুর রহমান(২৫), পিতা- নবী হোসেন, সাং- দক্ষিন জ্ঞানপাড়া, ৮) মোঃ শান্ত(২৩), পিতা-কবির হোসেন, সাং-৭ নং ওয়ার্ড পাথরঘাটা পৌরসভা, ৯) মোঃ খোকন(৩৮), পিতা-আঃ হাকিম গোমস্তা, সাং-দক্ষিণ জ্ঞানপাড়া, সর্ব থানা-পাথরঘাটা, জেলা- বরগুনা, এনামুল হোসাইন অভিযোগ করেন, নির্বাচন শুরু থেকেই কাকচিড়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর ছেলে রাজন আহম্মেদ কাপ-প্রিচ মার্কার পক্ষ নিয়ে আমার (এনামুলের) লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদার্শন করছে এবং দোয়াত-কলম প্রর্তিকের প্রচার অফিস ভাংচুর করে। আজ একই ষ্টাইলে মোটরসাইকেল মহরা দিয়ে রাজন তার লোকজন নিয়ে আমার কাকচিড়া ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচার অফিস ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে আমি (এনামুল হোসাইন) কিছু কর্মী নিয়ে সেখানে গেলে আমার ওপরে হামলা করে রাজন এবং আমাকে কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে। পরে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে আমাকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মোস্তফা গোলাম কবির জানান, বিকালে কাকচিড়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামে তার এবং এনামুলের সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সময় একটু হতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক এস্থানীয়রা মিট করে দেয়। তার পরেও এনামুল সন্ধার পরে তার লোকজন নিয়ে ওই এলাকায় আমার লোকজনকে মরধর করেছে। তাদের মধ্যে শাহআলী ও রাকিবকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে আমার লোকজন দেখতে যায়। এসময় এনামুলের সমর্থকরা আমাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের প্রায় ৩০ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তিনি বলেন, আমার গন জোয়ার দেখে এনামুল নির্বাচন বানচাল করার জন্য এসব কাজ করছে।
পাথরঘাটা হাসপাতালের কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, প্রার্থী এনামুল ভর্তি হওয়ার পর মোস্তফা গোলাম কবিরের সমর্থক দু’জনকে ভর্তি করালে আহতদের দেখতে উভয় পক্ষের লোক পাথরঘাটা হাসপাতালে জড়ো হয়। এবং হাসপাতালের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। এতে অনেকেই রক্তাক্ত আহত হয়েছে। ৩০ মিনিট ধরে সংঘর্ষ চলার পর পুলিশ এসে উভয় পক্ষের ওপর লাঠিচার্জ করে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পাথরঘাটা থানার ওসি আল মামুন সময়ের সন্ধানে জানান, এই ঘটনা যাতে নির্বাচনের ওপর প্রভাব না পরে সে কারনে এই মারামারির সাথে যারা জরিত তাদের আটকের ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। প্রার্থীরা অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উলেখ্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই উপজেলায় ২৯ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ঘূর্ণিঝড় রিমালে কারনে তা স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন আগামী ৯ জুন ভোট গ্রহনের দিন ধার্য করেছে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
সস/এস