ছবি:সংগৃহীত
নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রিফাত (২২) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত রিফাত উপজেলা সদরের পূর্বপাড়ার কামরুজ্জামানের ছেলে।
থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলার একটি স্কুলের ৮ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে রিফাত বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাব দিতো। একপর্যায়ে প্রেমে রাজি না হওয়ায় শুধুমাত্র ফোনে কথা বলাতে রাজি করে এবং কথা বলার জন্য একটি মোবাইল কিনে দেয়। কথা বলার একপর্যায়ে প্রায় এক বছর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নেয় এবং উপজেলা সদরের বাবু বাজারে যায়। সেখানে তাকে বিয়ের কথা বলে প্রথমে রাজশাহীতে নিয়ে যায়। রাজশাহীতে বিভিন্ন জায়গায় সারাদিন ঘোরাফেরা করে রাত ৮টায় নিয়ামতপুরে ফিরে আসে।
এরপর তরফদার আবাসিক হোটেলে তৃতীয় তলায় পশ্চিম পার্শ্বের একটি রুম ভাড়া নেয়। সেখানে ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুইবার ধর্ষণ করে। পরদিন শুক্রবার আরো দুইবার ধর্ষনের পর বিকেল ৪টায় স্কুলছাত্রীকে হোটেল থেকে বের করে তিন মাথার মোড়ে রেখে রিফাত পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ভুক্তভোগী বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের অবগত করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর নানি বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়।
নিয়ামতপুর থানার এসআই জাকিরুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে শুক্রবার একটি মামলা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে আসামি রিফাতকে উপজেলা সদর থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি তদন্ত করা হবে।
নিয়ামতপুর থানার ওসি মাইদুল ইসলাম সময়ের সন্ধানে জানান, মামলার প্রেক্ষিতে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
সস/এম এইচ আর