৯ দফা দাবি আদায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ছাত্র ও অভিভাবক।ছবি:সময়ের সন্ধানে।
বগুড়া জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে বুধবার শিক্ষার্থীরা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করেছে। সারা দেশে ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা, গণগ্রেফতার, হামলা, মামলা, গুম ও খুনের প্রতিবাদে এবং ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অনেক অভিভাবকও অংশ নেন।
৩১ জুলাই ২০২৪ রোজ:বুধবার বেলা ১১টার পর বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলায় শহীদ আবদুল জব্বার সড়কে সমাবেত হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা কালীমন্দিরের সামনে এলে পুলিশ বাধা দেয়। বাধা পেরিয়ে শিক্ষার্থীরা আদালতের সামনে এলে সেখানেও দ্বিতীয় দফা বাধা দেওয়া হয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হলেও কোন পক্ষই অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়ায়নি। শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ অবস্থান করার পর মিছিল নিয়ে জেলাখানা মোড়ে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের শিক্ষার্থী আল আরাফাত, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী অভি প্রমুখ। তারা বিভিন্ন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন। আন্দোলনকারীরা ‘জেগেছে যে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘তুমি কে, আমি কে, সমন্বয়ক, সমন্বয়ক’, ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘শিক্ষার্থীদের বুকে গুলি কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘দিনে নাটক, রাতে আটক’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেনা, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি সদস্যরা পৌরসভার সামনে সতর্ক অবস্থান নেন। সমাবেশের সামনে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ করে বেলা ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ফিরে যান।
সমাবেশের কারণে শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সড়ক, শহীদ আবদুল জব্বার সড়ক, রোমেনা আফাজ সড়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বাকি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই বগুড়ার আদালতপাড়া এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। জেলা জজ আদালতের প্রধান দরজা বন্ধ রাখা হয় এবং আদালত প্রাঙ্গণে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ শিক্ষার্থীদের পরিচয় জেনে চলাচলের অনুমতি দেয় এবং প্রয়োজনে তল্লাশি করে।
বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান শাহিন বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তারা কোনো বাধা দেননি। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালিত হয়েছে।