ছবি:সংগৃহীত
নিজস্ব প্রতিবেদক: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আউশকান্দি র, প, উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান কর্তৃক বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ, সার্টিফিকেট বাণিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, দায়িত্বে অবহেলা, প্রভাব খাটানোসহ একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, অদূরদর্শিতা, মনগড়া ভাবে দাতা সদস্য নিয়োগ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে বাধ্যতামুলক ছুটিতে পাঠানো ও একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে, ওই উপজেলার আউশকান্দি র.প. উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক লূৎফুর রহমানের বিরুদ্ধে । হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত স্কুলের গর্ভনিংবডির সভাপতি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ।
জানা যায়,১৯৯৬ সালে প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান যোগদানের পর থেকেই স্কুলের টাকা আত্মসাৎ, সার্টিফিকেট বাণিজ্য, নিয়োগ বানিজ্য, দায়িত্বে অবহেলা, প্রভাব খাটানো, নিয়ম বহিভূর্ত ভাবে দাতা সদস্য নিয়োগসহ একের পর এক মনগড়া সিদ্ধান্ত, বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা, অদূরদর্শিতা ও নানা অনিয়মের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই তাকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এসব অভিযোগে এর আগে একবার বহিস্কারও হয়েছিলেন তিনি। তার নানা অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল করে স্কুলের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সব শিক্ষককে জিম্মি করে ফেলে। তারা সব শিক্ষককে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে।
পরে স্কুলের গভনিং বডির সভাপতি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম কুমার দাশ অনুপ হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি র.প. উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক লূৎফুর রহমান কে ৩মাসের জন্য ছুটিতে পাঠান ও একটি তদন্ত টিম গঠন করেন। তিনি বলেন এই তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক কর্মস্থলে যোগদান করতে পারবেন না। এই ঘোষনা দেওয়ার পর বিক্ষোভকারী ছাত্র ছাত্রী স্কুল ত্যাগ করেন।
এঘটনায় এলাকায় নানান আলোচনা সমালোচনা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃস্টি হয়েছে৷ ছাত্রদের দাবী অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার সহ প্রশাসনিকভাবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, এবং তিনির অপকর্মের সহযোগী কলেজ শিক্ষিকা শাহীন আক্তারকেও বহিস্কার সহ আইনের আওতায় আনতে হবে৷ অন্যতায় যেকোনো সময় আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে বিক্ষুব্ধ ছাত্র /ছাত্রীরা।