পানি উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি:সময়ের সন্ধানে
নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি: গত০৮ অক্টোবর নীলফামারীর ডিমলায় পানি উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর বুড়িতিস্তা জলাশয়ের অবৈধ দখলদারের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ অক্টোবর/২৪) দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন রংপুর কেন্দ্রের আয়োজনে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যপি মানববন্ধন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীসহ শাখার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এসময় বক্তব্য রাখেন, উত্তরাঞ্চলের রংপুর পানি উন্নয়ন বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর সর্কেল-১ আহসান হাবীব, রংপুর সর্কেল-২ মিজানুর রহমান, ঠাকুরগাঁও সার্কেলের প্রকৌশলী কৃষ্ণকমল চন্দ্র সরকার, নীলফামারী বাপাউবো এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান।
তারা বলেন,“তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনবার্সন ও সম্প্রসারণ” প্রকল্পের আওতায় বুড়িতিস্তা নদীর ডিমলা ও জলঢাকা এলাকার ১২১৭ একর আয়তনের জলাধারের মধ্যে ১ম ধাপে ৬৬৭ একর জলাধার পুনঃখনন করা হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কাজ হলে জলাধারের পানি ব্যবহার করে ৫হাজার ৫শত একর জমিতে আমন ও বোরো মৌসুমে কৃষককে সেচের পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। যার ফলে প্রতি বছর প্রায় ২৬ হাজার মেট্রিক টন ফসল উৎপাদন সম্ভব যার বাজার মূল্য প্রায় ৭২ কোটি টাকা। এছাড়াও ভূপরিস্থ উর্বর পানি গ্রাভিটি ইরিগেশন পদ্ধতিতে ব্যবহার হওয়ায় প্রতিবছর অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন বাবদ ১২ কোটি টাকা, জ্বালানি বাবদ ২.২০ কোটি টাকা এবং সার বাবদ প্রায় ১.৩০ কোটি সহ প্রতি বছর প্রায় ১৫.৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু উক্ত রিজার্ভারের শুকনো জায়গায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও দখলদারের কারণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বক্তারা আরও বলেন, বুড়িতিস্তা খননে এরআগে বহুবার আমাদের উপর হামলা হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাড়িসহ সরঞ্জাম পুড়িয়ে দিয়েছে। এনিয়ে ৯টি মামলাও হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু করতে গত ০৮ অক্টোবর সকালে ডিমলার কেয়ার বাজারে পুনরায় স্থানীয় দখলদারদের সাথে আলোচনায় বসলে তারা অতর্কিতভাবে হামলা শুরু করে। আমরা এর তীব্র নিদ্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মানববন্ধন শেষে আইনবিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী নিয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।