ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম ::
রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাগমারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহক মৃত্যুতে নমিনীকে বীমার চেক হস্থান্তর গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনা ৪ ঘণ্টায়,শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশের স্কুলের ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে: শিক্ষা সচিব শিবগঞ্জে শোলা গাড়ি সাহা লাস্কর জিলানী ( রা) দাখিল মাদ্রাসা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বর্ণাঢ্য দিবস উদযাপিত চট্টগ্রামে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের শ্রদ্ধাঞ্জলি

ইআরডিএফবির আয়োজনে চট্টগ্রামে উপাচার্যদের মিলনমেলা

  • ONLINE DESK
  • আপডেট সময় : ১২:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 105

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি সংস্কৃতিরও উন্নয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

তিনি বলেন, ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সিভাসুর সহযোগিতা ও এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)- এর আয়োজনে ‘অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক’ এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাই না। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে।

স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফল আহসান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

অন্যদিকে চবির পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন। জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক।

ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে। বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড. আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো. শহীদ, ড. নূর হোসেন, অধ্যাপক ড. সজীব কুমার, অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

ইআরডিএফবির আয়োজনে চট্টগ্রামে উপাচার্যদের মিলনমেলা

আপডেট সময় : ১২:১২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩

শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি সংস্কৃতিরও উন্নয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

তিনি বলেন, ইউরোপের রোমান, গ্রীক সাম্রাজ্য, রোম এরা আমাদের চেয়ে অধিক সমৃদ্ধ ছিলো, তবুও আমরা এগিয়ে গিয়েছি। আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনকে পিছনে ফেলে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সিভাসুর সহযোগিতা ও এডুকেশন রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অফ বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)- এর আয়োজনে ‘অপরাজনীতিমুক্ত, দারিদ্রমুক্তও শিক্ষা সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক’ এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহদাত হোসেনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, হাজার বছরের ইতিহাস আমাদের। আছে ওয়ারী বটেশ্বর, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমারা যতই বলুন কোন ভাবেই তারা আমাদের চেয়ে উন্নত নয়।বাংলাদেশ বারবার পশ্চিমাদের অপরাজনীতির স্বীকার হয়, পূর্বেও হয়েছে। যার জন্য জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছে। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে হারাতে চাই না। শেখ হাসিনা এক বিরল নেতৃত্ব। নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আমাদের উৎপাদন বাড়াবে, গবেষণা বাড়াবে। কেস লেস, পেপার লেস সোসাইটি পারবে স্মার্ট সিটিজেন তৈরি করতে।

স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সব সময় শিক্ষা ও গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তাই তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কুদরাত-ই -খুদা কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বেতবুনিয়া ভূ উপগ্রহ কেন্দ্র সহ সৃষ্টি করেছিলেন আরও অনেক গবেষণার স্বর্ণদার। তারই হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফল আহসান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হতে হলে প্রতিটি নাগরিককে জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে স্মার্ট হতে হবে। জনগণ হবে প্রযুক্তি নির্ভর। শিক্ষা ব্যবস্থা হবে যুগোপযোগী তবেই স্মার্ট বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। অপরাজনীতি থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে হবে, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা রয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীন আখতার বলেন, শিক্ষকরা সমাজের আয়না। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে এটি একটি চমৎকার আয়োজন। আমরা দেখেছি একটি জনপদ কিভাবে সম্মানের জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, জাতিকে সাহস যুগিয়েছিলেন।যার বিনিময়ে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় আমরা স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। আজও শেখ হাসিনা নানান দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে যাচ্ছেন।সব বাঁধা পেরিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা।

অন্যদিকে চবির পালি বিভাগের অধ্যাপক ড. জীবনবোধী ভিক্ষু বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাতির বটবৃক্ষ। আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। আমাদের সকলের সংশোধন হতে হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে একীভূত হতে হবে। যেভাবে আমরা মুক্তিযদ্ধের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. জাহিদ হোসেন শরীফ বলেন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ও আমাদের দেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছেন,এখনো করছেন, এসব অপরাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।

অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, মূলত আমরা যাই করি তার পিছনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা একটি বড় ভূমিকা পালন করে। তাই সুস্থ রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. সেলিনা আখতার বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পাই।বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছেন। জাতি আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে পা রেখেছেন। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ভূমিকাও অনেক।

ডা. ইসমাইল খান বলেন, তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন কেউ কেউ আসে ইতিহাস হয়ে। বঙ্গবন্ধুও এসেছিলেন,ভালো স্বাস্থ্য না থাকলে ভালো শিক্ষা অর্জন করা যায় না।তবে অভাব ও দূর করা সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ অভিন্ন শব্দ। এদের ছাড়া বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে আবারো জয়যুক্ত করি এবং তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

প্রফেসর ড. মো. রফিকুল আলম বলেন, পরাশক্তিরা যতই চোখ রাঙিয়ে যাক,আমাদের মাথা নোয়ালে চলবে না। তাই আগামী নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহনে নৌকাকে জয়যুক্ত করে উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আকিবা রুবি, মহসিন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, প্রাক্তন ছাত্র ড. রাকিব, ড.সুমন গাঙ্গুলি, চবি বাংলা বিভাগের, ড. আনোয়ার সাইদ, মেরিন সাইন্সের ড. ওয়াহিদ, মেরিন সাইন্সের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম, ড. মোরশেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইনিস্টিউটের সাবেক সভাপতি মো. শহীদ, ড. নূর হোসেন, অধ্যাপক ড. সজীব কুমার, অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরিন আখতার, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.ইসমাইল খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, চট্টগ্রাম ভেটিরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান, বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আওরঙ্গজেব, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি চিটাগাং এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহেদ হোসেন শরীফ। অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার প্রেস এক্সপ্রেস অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করে।