ছবি:সময়ের সন্ধানে
জামালপুর প্রতিনিধি:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে নাশকতার মামলার চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিতে যুবদল নেতার কাছে আর্জি জানিয়েছেন যুব মহিলা লীগ নেত্রী। এ নিয়ে তাদের একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে ফোনালাপের একটি রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফোনালাপটি ভাইরাল হওয়ায় জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
কথোপকথন ভাইরাল হওয়া যুব মহিলা লীগ নেত্রীর নাম জহুরা বেগম। তিনি বকশিগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও একই উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। অপরদিকে যুবদলের ওই নেতার নাম মাহবুবুর রহমান লাভলু। তিনি বকশিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব।
দুই মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ফোনালাপে মামলার তালিকা থেকে নাম কাটার অনুরোধ করেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী জহুরা বেগম। তিনি বলেন, এখন এটা (তার নাম) কি চার্জশিট থেকে কাটা যাবে?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘চার্জশিট থেকে কাটা যাবে। তখন আপনি যোগাযোগ কইরেন, কাইটে দিমুনি।’ জহুরা বেগম আবারও বলেন, ‘এখন কোনো কিছু করা যাবে না?’ উত্তরে মাহবুবুর আলম বলেন, ‘এখন তো কিছু করা যাবে না। তবে মানিক ভাইয়ের (উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর) সঙ্গে বসে কথা বলতে হবে।’
আরও বলতে শোনা গেছে, সেই নেত্রীর রাস্তার ঠিকাদারির কাজ চান যুব দলের নেতা মাহবুবুর রহমান। তবে জহুরা বেগম প্রতি উত্তরে মানিক সওদাগরের সাথে বসে কথা বলার অনুরোধ করেন এবং বিএনপির সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে বকশীগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী ও উপজেলা ভাইস চেয়াম্যান জহুরা বেগমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা সম্ভব হয়নি।
তবে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান লাভলু বলেন, একটি ছেলে আমাকে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বলে, উনি (জহুরা বেগম) পলাতক আছে, কোনো কাজ করতে পারছে না, একটু কথা বলেন। পরে আমি কথা বলি। আমি সহজ সরল মানুষ। তিনি ফোনে কথা বলার শুরুতেই মামলা নিয়ে কথা বলে। মামলার বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই। কাজের প্রয়োজনে তার সাথে কথা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মানিক সওদাগর বলেন, রেকর্ড শুনেছি। এখন একজন যদি বলে যে, অমুকের কাছে গেলে মামলা শেষ হবে। কিন্তু আমার কাছে তো আসতে হবে শুনতে হবে। মামলা আমিই করেছি আমিই শেষ করবো।
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সত্যতা যাচাই করবো। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৪ আগস্ট বকশীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ১ নভেম্বর ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন গোলাম মোস্তফা নামের এক বিএনপি নেতা। ওই মামলার ৩২ নম্বর আসামি যুব মহিলা লীগ নেত্রী জহুরা বেগম।