ঢাকা ০৮:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম ::
রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাগমারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহক মৃত্যুতে নমিনীকে বীমার চেক হস্থান্তর গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনা ৪ ঘণ্টায়,শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশের স্কুলের ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে: শিক্ষা সচিব শিবগঞ্জে শোলা গাড়ি সাহা লাস্কর জিলানী ( রা) দাখিল মাদ্রাসা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বর্ণাঢ্য দিবস উদযাপিত চট্টগ্রামে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের শ্রদ্ধাঞ্জলি

বাগমারা’য় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব বিল দখলের অভিযোগ

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সময়ের সন্ধানে

স্টাফ রিপোর্টার,রাজশাহী


রাজশাহীর-বাগমারা’য় বিএনপির এক নেতা এবং সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক রেজাউল করিম শেখের বিরুদ্ধে পাতিয়ার বিল জোরপূর্ব দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বিলটি অবৈধভাবে দখল করে রাখায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে ওই বিলের প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে এখন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিলটি উন্মুক্ত রাখার দাবিতে খাজুর গ্রামের আকতারুজ্জামান, শাহাদত হোসেন ও আবুল হোসেনসহ ৪৫ জন কৃষক প্রতিকার চেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ করখন্ড ও শালজোড় মৌজায় অবস্থিত পাতিয়ার বিল ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছরের জন্য কয়েকজন কৃষকের নিকট থেকে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নেন। কিন্তু সে চুক্তিপত্রের মেয়াদ ৬ মাস আগে শেষ হলেও রেজাউল করিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা এবং গোবিন্দপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিজন সরকারের সহযোগীতায় রেজাউল করিম শেখ এখনো বিলটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তাছাড়া বিলটি অবৈধভাবে দখলে রাখার উদ্দেশ্যে সে প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে তার পক্ষের মাত্র কয়েকজন কৃষকের কাছে থেকে নতুনভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করে বিলটিতে তার অবৈধ দখল স্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বর্ষা মওসুমে স্থানীয় কিছু গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবি ও কৃষকরা তাদের মালিকানাধীন জমিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু আ.লীগ নেতা রেজাউল করিম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার বাহিনী দ্বারা ওইসব কৃষক ও মৎস্যজীবিদের হুমকি-ধামকি দিয়ে বিলে নামতে দিচ্ছেন না। কোনো কৃষক বা মৎস্যজীবিরা তাদের মালিকানাধীন জমিতে নামতে গেলে তাদের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিলটিতে বর্তমানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে ফসল চাষ অনিচ্ছিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে অবৈধ দখল থেকে বিলটি উদ্ধার করে এলাকার গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবিরা যেন স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে ও কৃষকরা তাদের জমিতে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্র হণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম শেখ বলেন, তিনি খাজুর ও শালজোড় গ্রামের কিছু কৃষকের কাছে থেকে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বিলটির কিছু জমি মাছ চাষের উদ্দেশ্যে নতুনভাবে লিজ নিয়ে বিলটি তার দখলে রেখেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

বাগমারা’য় আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে জোরপূর্ব বিল দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:২২:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

ছবি:সময়ের সন্ধানে

স্টাফ রিপোর্টার,রাজশাহী


রাজশাহীর-বাগমারা’য় বিএনপির এক নেতা এবং সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সম্পাদক রেজাউল করিম শেখের বিরুদ্ধে পাতিয়ার বিল জোরপূর্ব দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বিলটি অবৈধভাবে দখল করে রাখায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে ওই বিলের প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে এখন চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিলটি উন্মুক্ত রাখার দাবিতে খাজুর গ্রামের আকতারুজ্জামান, শাহাদত হোসেন ও আবুল হোসেনসহ ৪৫ জন কৃষক প্রতিকার চেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম শেখ করখন্ড ও শালজোড় মৌজায় অবস্থিত পাতিয়ার বিল ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দুই বছরের জন্য কয়েকজন কৃষকের নিকট থেকে ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে নেন। কিন্তু সে চুক্তিপত্রের মেয়াদ ৬ মাস আগে শেষ হলেও রেজাউল করিম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা এবং গোবিন্দপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বিজন সরকারের সহযোগীতায় রেজাউল করিম শেখ এখনো বিলটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তাছাড়া বিলটি অবৈধভাবে দখলে রাখার উদ্দেশ্যে সে প্রকৃত কৃষকদের বাদ দিয়ে তার পক্ষের মাত্র কয়েকজন কৃষকের কাছে থেকে নতুনভাবে চুক্তিপত্র তৈরি করে বিলটিতে তার অবৈধ দখল স্থায়ী করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। বর্ষা মওসুমে স্থানীয় কিছু গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবি ও কৃষকরা তাদের মালিকানাধীন জমিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু আ.লীগ নেতা রেজাউল করিম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তার বাহিনী দ্বারা ওইসব কৃষক ও মৎস্যজীবিদের হুমকি-ধামকি দিয়ে বিলে নামতে দিচ্ছেন না। কোনো কৃষক বা মৎস্যজীবিরা তাদের মালিকানাধীন জমিতে নামতে গেলে তাদের হাত-পা কেটে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিলটিতে বর্তমানে কৃত্রিম জলাবদ্ধতার কারণে প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে ফসল চাষ অনিচ্ছিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে অবৈধ দখল থেকে বিলটি উদ্ধার করে এলাকার গরীব ও অসহায় মৎস্যজীবিরা যেন স্বাধীনভাবে মাছ ধরতে ও কৃষকরা তাদের জমিতে সঠিক সময়ে চাষাবাদ করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্র হণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রেজাউল করিম শেখ বলেন, তিনি খাজুর ও শালজোড় গ্রামের কিছু কৃষকের কাছে থেকে চুক্তিপত্রের মাধ্যমে বিলটির কিছু জমি মাছ চাষের উদ্দেশ্যে নতুনভাবে লিজ নিয়ে বিলটি তার দখলে রেখেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।