কূটনৈতিক জোন খ্যাত গুলশান থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিউটিরত একটি গাড়ি লাপাত্তা। ৯৬ ঘণ্টা আগের অর্থাৎ শনিবার রাতের ঘটনা এটি। কিন্তু এখনো গাড়িটির অবস্থান শনাক্ত করা কিংবা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লোগো এবং সরকারি স্টিকার সংবলিত সাদা রঙের টয়োটা প্রিমিও-১৭ মডেলের প্রাইভেটকারটি লাপাত্তা হওয়ার বিষয়ে ঘটনার পরদিন গুলশান থানায় একটি মামলা হয়েছে। যার নম্বর-২২/২৪-১১-২৪। পেনাল কোডের ৩৭৯ ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ। মানবজমিনকে তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার পথে অনেক দূর এগিয়েছেন তারা। তিনি আশা করেন দ্রুততম সময়ের মধ্যেই গাড়িটি উদ্ধারে সক্ষম হবে পুলিশ।
গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর দাখিল করা এজাহারে গাড়ির তত্ত্ব্বাবধায়ক ও মামলার বাদী শাহাদাত হোসেন জানান, গত ২৩শে নভেম্বর আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলশান-২, রোড নং-৯৬, বাড়ি নং-১৭ এর সামনের পাকা সড়কে অস্থায়ী পার্কিং অবস্থায় ছিল তার গাড়িটি। যা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব (RO & MA) দপ্তরের দাপ্তরিক কাজে নিয়োজিত ছিল। সাদা রংয়ের PREMIO-১৭ মডেলের প্রাইভেট কার এটি। যার চেসিস নম্বর- NZT২৬০-৩১৯৯৪২৫, ইঞ্জিন নম্বর- IZT-৮৩৬১৬১৮, রেজিস্ট্রেশন নম্বর-ঢাকা মেট্রো.-গ-৪২-৯১৪৮। বাদী জানান, তার গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন মো. ওয়াসিম নলী (৩৭), পিতা-মো. হান্নান নলী, স্থায়ী ঠিকানা- হরিনাথপুর (জেটিকাডা), থানা-হিজলা, জেলা-বরিশাল বর্তমান সাং- হোল্ডিং নং-৭২/খ, পশ্চিম আগারগাঁও, থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-ঢাকা। ঘটনার বিষয়ে তিনি লিখেন- গাড়িটি RAASAD BAIVAB (গুলশান-২, রোড নং-৯৬, বাড়ি নং-১৭)-এর সামনে পাকা রাস্তার উপর রেখে একটু দূরে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যান ড্রাইভার ওয়াসিম। ফিরে এসে দেখেন যেখানে গাড়িটি রেখে গেছিলেন সেখানে নেই। তার দাবি অজ্ঞাতনামা চোররা গাড়িটি চুরি করে নিয়ে গেছে। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন ড্রাইভার ওয়াশিম গাড়িটি আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে তাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। সেই ফোন পেয়ে তিনি তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। নিজেও আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু কেউই গাড়িটির বিষয় কোনো তথ্য দিতে পারেননি। বাসায় ফিরে তিনি ঘটনার বিষয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং থানায় হাজির হয়ে এজাহার দায়ের করেন। যাতে খানিকটা বিলম্ব হয়।