নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সামনে পড়লেই কী যেন হয়ে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের! প্রতিপক্ষের গতিময় ফুটবলের সামনে পুরোটা সময় অসহায় হয়ে রইল এরিক টেন হাগের দল। প্রিমিয়ার লিগের সফলতম দলটিকে ফের হারিয়ে একশ বছরের বেশি সময় আগের স্মৃতি ফেরাল নিউক্যাসল।
ঘরের মাঠ সেন্ট জেমস পার্কে শনিবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি নিউক্যাসল জিতেছে ১-০ গোলে। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেছেন অ্যান্টোনি গর্ডন।
১৯২২ সালের পর এই প্রথম ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল নিউক্যাসল। প্রিমিয়ার লিগের ২০২২-২৩ আসরে গত এপ্রিলে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে এবং গত মাসে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে লিগ কাপে ৩-০ গোলে জিতেছিল তারা।
পুরো ম্যাচে নিউক্যাসলের দাপটের চিত্র স্পষ্ট পরিসংখ্যানেও। গোলের জন্য তাদের ২২ শটের ৪টি ছিল লক্ষ্যে, আর সফরকারীদের ৮ শটের একটি লক্ষ্যে ছিল।
ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগটা পায় অবশ্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। দশম মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে ব্রুনো ফের্নান্দেসের থ্রু পাস ধরে এগিয়ে যান আলেহান্দ্রো গারনাচো। আগের ম্যাচে এভারটনের বিপক্ষে ওভারহেড কিকে দুর্দান্ত গোল করা এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের নিচু শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক নিক পোপ।
সপ্তদশ মিনিটে আন্দ্রে ওনানার দৃঢ়তায় গোল পায়নি নিউক্যাসল। লুইস মাইলির শট ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন ক্যামেরুনের এই গোলরক্ষক।
৩৯তম মিনিটে আরেক দফা বেঁচে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ ডিফেন্ডার কিরান ট্রিপিয়ারের ফ্রি কিক ক্রসবারের নিচের দিকে লাগে।
৫৫তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় নিউক্যাসল। ডান দিক থেকে ট্রিপিয়ার পাস দেন দূরের পোস্টে, আর ছুটে গিয়ে প্রথম স্পর্শে বল জালে পাঠান গর্ডন।
প্রিমিয়ার লিগে ৩৩৪ মিনিট পর গোল হজম করল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবশেষ গত অক্টোবরে তাদের জালে গোল করেছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন।
বাকি সময়েও আধিপত্য ধরে রাখে নিউক্যাসল। শেষ দিকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হ্যারি ম্যাগুইয়ারের বুকে লেগে বল নিউক্যাসলের জালে গেলেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
১৪ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠেছে নিউক্যাসল। সমান ম্যাচে ষষ্ঠ হারের স্বাদ পাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সাতে আছে।
দিনের প্রথম ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সকে ২-১ গোলে হারানো আর্সেনাল ১৪ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। এক ম্যাচ কম খেলে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।
শিরোপাধারীদের সমান ১৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট করে নিয়ে লিভারপুল তিনে, অ্যাস্টন ভিলা চারে আছে।