ছবি:সময়ের সন্ধানে
পিরোজপুর নেছারাবাদে ঘুষের ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিলেন ৯ নং সুটিয়াকাঠী ইউনিয়ন ভূমি অফিস সহকারী কর্মকর্তা মো. সানাউল হক। বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সুটিয়াকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বসে তিনি মোবাইল ব্যাংকিং ও ক্যাশের মাধ্যমে এই টাকা পরিশোধ করেন।
জানা যায়, ভান্ডারিয়া উপজেলার ইকরি ইউনিয়নের পশ্চিম পসারীবুনিয়া গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. আমির হোসেনের কাছ থেকে মিউটেশন করার জন্য খরচ বাবদ ২ বছর আগে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সানাউল হক। পরবর্তীতে নেছারাবাদ উপজেলায় পোস্টিং হলে টাকা ফেরত না দিয়ে চলে আসেন তিনি। অবশেষে ঘুষের ৪০ হাজার টাকা হাতে পেলেন মো. আমির হোসেন।
ভুক্তভোগী আমির হোসেন কালবেলাকে বলেন, প্রায় দুই বছর আগে জমি মিউটেশন করা বাবদ বিভিন্ন খরচ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সানাউল হক। টাকাটা ছিল আমার মেয়ে জামাইয়ের দেওয়া। তিনি কয়েকদিন আগে বিদেশে চলে গিয়েছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে প্রায় দুই বছর পরে টাকাটা তুলে নিতে পেরেছি। এতদিন এলাকার প্রভাবশালীদের ভয় দেখিয়ে টাকা ফেরত দেয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুটিয়াকাঠী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) মো. সানাউল হকের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে অপর প্রান্ত থেকে ফোনটির সংযোগ বার বার বিচ্ছিন্ন করা হয়।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, যদি সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে কঠোর হস্তে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া ভুক্তভোগী ব্যক্তি যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।