ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
শিরোনাম ::
নীলফামারীর ডিমলায় ২ মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-৫ শরীয়তপুর সদর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সাগির হোসেন ও সম্পাদক মফিদুল ইসলাম নীলফামারীতে তিস্তা ব্যারেজের সেচ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন নেত্রকোণায় দুর্গাপুর থানার পুলিশের এসআইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভেতর থেকে ওসি’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ঘুষের টাকা না পেয়ে মারপিটে আহত ৩ অভিযুক্ত এসআই বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন ১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন ৪৩ বছরের সৌদি নারী শ্রীপুরে ‘মিফতাহুল জান্নাত’ মহিলা মাদ্রাসার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন জলঢাকায় প্রা: বি: গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালক, বালিকা ২০২৪ এর উপজেলা পর্যায়ে শুভ উদ্বোধন নতুন দেশ গঠনের প্রত্যয় নিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন বছর স্বাগত ২০২৫

১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন ৪৩ বছরের সৌদি নারী

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সংগৃহীত 

সন্তানদের পরিচর্যায় মনোযোগ দিতে হয়, এ কারণে অনেক নারী পড়ালেখা বাদ দিয়ে দেন। তবে ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন সৌদি আরবের এক নারী।

হামদা আল রুয়াইলি নামে এ নারী ১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম আল এখবারিয়াকে জানিয়েছেন, সন্তানদের দেখাশুনা, কাজ এবং পড়াশোনা একইভাবে চালিয়ে গেছেন তিনি।

মানসিক স্বাস্থ্য খাতের প্রশাসনিক পদে কাজ, সঙ্গে অনলাইনে ব্যবসা করেন হামদা। তিনি বলেন, আমি দিনের বেলা সন্তানদের পরিচর্যা এবং কাজ করি। রাতের বেলা ব্যবসা ও পড়াশোনা চালাই। আমি কোনো ধরনের ঝামেলা চাই না। তাই খুব সতর্কভাবে আমার সারাদিনের পরিকল্পনা সাজাই।

হামদা আল রুয়াইলি জানিয়েছেন, ৪৩ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।

১৯ সন্তানকে মানুষ করা খুবই কঠিন কাজ ছিল তার। কিন্তু তিনি শিক্ষক এবং সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। হামদা বলেন, “এত সন্তান বড় করার ক্ষেত্রে আমার রোল মডেল হলেন সেই শিক্ষক যিনি শিক্ষার্থীভর্তি ক্লাস পরিচালনা করেন। এবং সামরিক অফিসার যারা বিপুল সেনাকে নিয়ন্ত্রণ করেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার জন্য একটি সন্তানকে বড় করা, ১০ সন্তানকে বড় করার সমান। আমি তাদের প্রয়োজন নিয়ে কাজ করি, লক্ষ্য অর্জনে তাদের সাহায্য করি এবং তারা যেন নিজেদের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারে সেজন্য তাদের অনুপ্রেরণা দেই।”

হামদা জানিয়েছেন, তার সন্তানরাও পড়ালেখায় বেশ ভালো। তার এক মেয়ে এতটাই মেধাবী যে কিং আব্দুল আজিজ সেন্টার তার পড়ালেখার খরচ বহন করে।

অনেক বাধা বিপত্তি আসলেও পড়ালেখা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি জানিয়ে সৌদির এই নারী বলেন, “এত সন্তানের মা হিসেবে আমার অনেক দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও, আমি আমার শিক্ষার স্বপ্নকে বাদ দেইনি। আল্লাহকে ধন্যবাদ, এই সাফল্যটা সহজ ছিল না। কিন্তু এটি পরিকল্পনা এবং পরিবারের সমর্থনের ফল।”

জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীর ডিমলায় ২ মোটরসাইকেলে মুখোমুখি সংঘর্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-৫

১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন ৪৩ বছরের সৌদি নারী

আপডেট সময় : ০৬:৩৬:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি:সংগৃহীত 

সন্তানদের পরিচর্যায় মনোযোগ দিতে হয়, এ কারণে অনেক নারী পড়ালেখা বাদ দিয়ে দেন। তবে ১৯ সন্তানের মা হয়েও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন সৌদি আরবের এক নারী।

হামদা আল রুয়াইলি নামে এ নারী ১০ ছেলে ও ৯ মেয়ের মা। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যম আল এখবারিয়াকে জানিয়েছেন, সন্তানদের দেখাশুনা, কাজ এবং পড়াশোনা একইভাবে চালিয়ে গেছেন তিনি।

মানসিক স্বাস্থ্য খাতের প্রশাসনিক পদে কাজ, সঙ্গে অনলাইনে ব্যবসা করেন হামদা। তিনি বলেন, আমি দিনের বেলা সন্তানদের পরিচর্যা এবং কাজ করি। রাতের বেলা ব্যবসা ও পড়াশোনা চালাই। আমি কোনো ধরনের ঝামেলা চাই না। তাই খুব সতর্কভাবে আমার সারাদিনের পরিকল্পনা সাজাই।

হামদা আল রুয়াইলি জানিয়েছেন, ৪৩ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন তিনি।

১৯ সন্তানকে মানুষ করা খুবই কঠিন কাজ ছিল তার। কিন্তু তিনি শিক্ষক এবং সেনা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন। হামদা বলেন, “এত সন্তান বড় করার ক্ষেত্রে আমার রোল মডেল হলেন সেই শিক্ষক যিনি শিক্ষার্থীভর্তি ক্লাস পরিচালনা করেন। এবং সামরিক অফিসার যারা বিপুল সেনাকে নিয়ন্ত্রণ করেন।” তিনি আরও বলেন, “আমার জন্য একটি সন্তানকে বড় করা, ১০ সন্তানকে বড় করার সমান। আমি তাদের প্রয়োজন নিয়ে কাজ করি, লক্ষ্য অর্জনে তাদের সাহায্য করি এবং তারা যেন নিজেদের ইচ্ছাগুলো পূরণ করতে পারে সেজন্য তাদের অনুপ্রেরণা দেই।”

হামদা জানিয়েছেন, তার সন্তানরাও পড়ালেখায় বেশ ভালো। তার এক মেয়ে এতটাই মেধাবী যে কিং আব্দুল আজিজ সেন্টার তার পড়ালেখার খরচ বহন করে।

অনেক বাধা বিপত্তি আসলেও পড়ালেখা থেকে কখনো বিচ্যুত হননি জানিয়ে সৌদির এই নারী বলেন, “এত সন্তানের মা হিসেবে আমার অনেক দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও, আমি আমার শিক্ষার স্বপ্নকে বাদ দেইনি। আল্লাহকে ধন্যবাদ, এই সাফল্যটা সহজ ছিল না। কিন্তু এটি পরিকল্পনা এবং পরিবারের সমর্থনের ফল।”