ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১
শিরোনাম ::
ইতালীর এর নারী নাগরিকের পাসপোর্ট-মোবাইল ছিনতাই , গ্রেপ্তার ২ ভালুকায় বিরুনীয়া ইউনিয়নের অটো টেম্পু, সিএনজি, মাহিন্দ্রর রোড পরিচালনা কমিটির অনুমদন হাত-পা বেঁধে ৫ জন মিলে ধর্ষণের পর হাতিরঝিলে ফেলে রাখে কিশোরীর মরদেহ হারানো ৫২টি মোবাইল ফোন মালিকদের কাছে হস্তান্তর করলেন পুলিশ কমিশনার কক্সবাজারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৭ নাটোরের চাঁদাবাজিকালে কৃষক লীগ নেতা ধরা, খুঁটিতে বাঁধল জনতা অতঃপর… নারায়ণগঞ্জে ওয়াশরুমে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন দিয়ে নারীর আত্মহত্যা তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ নির্দোষ,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইয়ামিনকে মারলো কে? রাজশাহীতে জামিনে মুক্তির পর,কারাফটকে ফের আটক বাগমারা’র-এমপি কালাম টাঙ্গাইলে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার ক্ষোভে স্ত্রীর হাত কেটে প্রতিশোধ নিলেন স্বামী!

নওগাঁর মহাদেবপুরে ক্লুলেস খুনের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জন গ্রেফতার

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

ছবি:সময়ের সন্ধানে

গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দিবাগত রাত্রে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম (৪১), পিতা মৃত অছিমুদ্দিন,গ্রাম- কোতালী, থানা পত্নীতলা, জেলা নওগাঁকে জবাই করে হত্যার পর মহাদেবপুর থানাধীন রাইগা ইউনিয়নের অন্তর্গত কালনা মৌজাস্থ জনৈক আরমান সরদার এর জমির পাশে কালভার্টের নিচে হত্যাকারীরা ফেলে রেখে যায় ৷ মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিল। এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা রুজুর পর থেকেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু এই হত্যাকান্ডে কোন ধরনের ব্লু না থাকার কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারছিলেন না । ফলে তদন্ত কাজে অত্যন্ত দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা, মহাদেবপুর সার্কেল এ্যাডিশনাল এসপি জনাব জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে নওগাঁ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতভর অভিযান চালিয়ে উক্ত টিম এ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মামুনুর রশিদ (৩৬), পিতা গুলজার হোসেন, মোঃ রুবেল হোসেন (২৫), পিতা মৃত ইসমাইল হোসেন এবং মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২), পিতা- মৃত আবুল কালাম আজাদ। তারা সকলেই পত্নীতলা থানার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের বাসিন্দা ।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে মোট পাঁচ জন জড়িত ছিল মর্মে জানা যায় ।

হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটো চার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মহাদেবপুর থানাধীন চেরাগপুর ইউনিয়নের ধনজৈল গ্রামের মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর আসামিরা ভিকটিমের লাশ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে যাতে তাদেরকে কেউ সন্দেহ না করে। উল্লেখ্য, মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে মহাদেবপুরে স্থানান্তরের কাজে ব্যবহৃত অটো চার্জার ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ইতালীর এর নারী নাগরিকের পাসপোর্ট-মোবাইল ছিনতাই , গ্রেপ্তার ২

নওগাঁর মহাদেবপুরে ক্লুলেস খুনের রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকান্ডে জড়িত ৩ জন গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০১:৪১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি:সময়ের সন্ধানে

গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ দিবাগত রাত্রে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম (৪১), পিতা মৃত অছিমুদ্দিন,গ্রাম- কোতালী, থানা পত্নীতলা, জেলা নওগাঁকে জবাই করে হত্যার পর মহাদেবপুর থানাধীন রাইগা ইউনিয়নের অন্তর্গত কালনা মৌজাস্থ জনৈক আরমান সরদার এর জমির পাশে কালভার্টের নিচে হত্যাকারীরা ফেলে রেখে যায় ৷ মৃতদেহটি একটি নীল পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ছিল। এ নির্মম হত্যাকান্ডের বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ নাসিমা খাতুন (৩৭) বাদী হয়ে গত ১৬ ডিসেম্বর মহাদেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা রুজুর পর থেকেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। কিন্তু এই হত্যাকান্ডে কোন ধরনের ব্লু না থাকার কারণে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারছিলেন না । ফলে তদন্ত কাজে অত্যন্ত দক্ষ ও চৌকস কর্মকর্তা, মহাদেবপুর সার্কেল এ্যাডিশনাল এসপি জনাব জয়ব্রত পালের নেতৃত্বে নওগাঁ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতভর অভিযান চালিয়ে উক্ত টিম এ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মামুনুর রশিদ (৩৬), পিতা গুলজার হোসেন, মোঃ রুবেল হোসেন (২৫), পিতা মৃত ইসমাইল হোসেন এবং মোহাম্মদ রাজু হাসান (৩২), পিতা- মৃত আবুল কালাম আজাদ। তারা সকলেই পত্নীতলা থানার ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালী গ্রামের বাসিন্দা ।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এই নৃশংস হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছে। পূর্ব শত্রুতা এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে মোট পাঁচ জন জড়িত ছিল মর্মে জানা যায় ।

হত্যাকান্ডের মোড় ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে একটি অটো চার্জার ভ্যানে করে মহাদেবপুরে এনে গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল। এছড়াও আলামত ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি মহাদেবপুর থানাধীন চেরাগপুর ইউনিয়নের ধনজৈল গ্রামের মাঠের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার পর আসামিরা ভিকটিমের লাশ উদ্ধারসহ দাফন কাফন কাজে সক্রিয়ভাবে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছে যাতে তাদেরকে কেউ সন্দেহ না করে। উল্লেখ্য, মৃতদেহটি পত্নীতলা থেকে মহাদেবপুরে স্থানান্তরের কাজে ব্যবহৃত অটো চার্জার ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।