তা হলে শেষ চাওয়াটা পূরণ হচ্ছে ডেভিড ওয়ার্নারের। চলতি বছর অ্যাশেজ সিরিজ চলাকালে তিনি জানিয়েছিলেন-যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ পান তা হলে প্রথম টেস্ট খেলেই বিদায় নেবেন। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপটা দারুণ কাটিয়েছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে টেস্টে তার পারফরম্যান্স এতটাই ম্রিয়মাণ যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে তাকে সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেরই ঘোর আপত্তি ছিল। তবে অতটা কঠোর অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক কমিটি হয়নি। দীর্ঘদিন দলকে সার্ভিস দেওয়া ওয়ার্নারকে মাঠ থেকে বিদায় বলার সুযোগ করে দিতেই প্রথম টেস্টের জন্য ঘোষিত দলে রেখেছে তারা।
সিডনিতে ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে প্রথম টেস্ট। ওই টেস্টের ১৪ সদস্যের দলে ওয়ার্নারকে দেখে চটেছেন বেশ কয়েকজন সাবেক অজি ক্রিকেটার। ওয়ার্নারেরই একসময়ের সতীর্থ মিচেল জনসন বলেছেন, ‘আমি জানি না কেন তাকে (ওয়ার্নার) দলে রাখা হলো। হ্যাঁ, এটা মানছি সব ফরম্যাট মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া দলে তার অবদান রয়েছে। অনেকে তাকে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ওপেনারও বলে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সবশেষ তিন বছরে তার অবদান কী? শেষ ৩৪ ইনিংসে ২৬.৭৪ গড়ে রান করা একজন ব্যাটারকে কোন যুক্তিতে দলে রাখা হয়েছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। এমন গড়ে ব্যাট করে কেবল একজন টেলএন্ডারই নির্বাচকদের খুশি করতে পারে। সে কীভাবে নির্বাচকদের মন জয় করল সেটা জানা নেই আমার।’
জনসন টেনে এনেছেন ২০১৮ সালে ওয়ার্নারের বল টেম্পারিং কাণ্ডকেও। বাঁহাতি ওপেনারের দলে থাকাকে তিনি অসম্মানজনক বলেই মনে করছেন, ‘আমরা এখন তার বিদায়ি টেস্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। কেউ কী বলতে পারবেন, কেন? ফর্মের সঙ্গে লড়াই করা একজন ওপেনার কেন নিজেই নিজের অবসরের দিন-তারিখ ঠিক করবেন?
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের কেন্দ্রে থাকা একজন ক্রিকেটারকে কেন এমন নায়কোচিত বিদায় জানাচ্ছি আমরা?’ জনসনের এমন তীর্যক মন্তব্যের পর মুখে কুলপ এঁটে আছেন ওয়ার্নার। তবে তার সমালোচনা করায় জনসনকে ধুয়ে দিয়েছেন নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি। সাবেক পেসারের মস্তিষ্কের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেছেন, ‘আমি তার (জনসন) কথা শুনেছি। আশা করি সে ঠিক আছে, তবে আমি নিশ্চিত নই। সুস্থ আছে তো সে?’
অস্ট্রেলিয়া দল : প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাজা, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশানে, অ্যালেক্স ক্যারি, স্কট বোল্যান্ড, ক্যামেরন গ্রিন, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, ল্যান্স মরিস, মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজলউড, নাথান লায়ন।