অনুষ্ঠানস্থল বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়নটি এসময় ছিল দর্শক-শ্রোতার উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ।
চলতি বছর পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনরা হচ্ছেন- কবিতায় তুষার কবির, কথাসাহিত্যে আকিমুন রহমান, লিটল ম্যাগাজিন (অগ্নিশিখা) সম্পাদনায় সম্পাদক সুমন বনিক, প্রকাশনায় অনুপ্রাণন প্রকাশক আবু এম ইউসুফ ও সাংবাদিকতায় মিলন রহমান।
পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন উপহার তুলে দেন বরেণ্য কবি ও লেখকরা। তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন এ পর্বের প্রধান অতিথি কবি আসাদ মান্নান।
কবিতা আবৃত্তি, নাটক পরিবেশনা, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনায় ভরপুর ছিল গত শুক্র ও শনিবারের দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠান। পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি ব্যক্ত করে অনুপ্রাণন প্রকাশক আবু এম ইউসুফ বলেন, অনুপ্রাণন সূচনালগ্ন থেকে অনেকটা নিভৃতে কাজ করে আসছে। এবারই প্রথম আমরা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেলাম। ঢাকা শহরে অনেক প্রকাশনা আছে কিন্তু বগুড়া লেখক চক্র আমাদেরই যোগ্য মনে করেছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের।
সংগঠন-সংশ্লিষ্টদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুপ্রাণন প্রকাশক আরো বলেন, অনুপ্রাণনের বয়স খুব বেশি নয়। তবে আমরা একটি নীতি অনুসরণ করে এসেছি বরাবর। নির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে সম্পাদনা পর্ষদ পাণ্ডুলিপি যাচাই-বাছাই করে। তারপরই আমরা একটি ভালো পাণ্ডুলিপিকে বই আকারে প্রকাশের উদ্যোগ নিই।
প্রায় দশ বছর ধরে অনুপ্রাণন সৃজনশীল বই প্রকাশ করে আসছে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের প্রায় ছয়শ’ বই। বই প্রকাশে বরাবরই তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে এসেছে অনুপ্রাণন। প্রতিষ্ঠিত লেখক কিংবা জনপ্রিয় লেখকদের বই প্রকাশ করার চিন্তার বাইরে গিয়ে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটি বরাবরই সৃজনপ্রয়াসী মননঋদ্ধ তরুণ লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক ম্যাগাজিন অনুপ্রাণন দিয়েই যাত্রা শুরু। এর বছর দুয়েক পরে শুরু হয় প্রকাশনার জয়যাত্রা। গত ২০২২ সাল থেকে যুক্ত হয়েছে অনুপ্রাণন অন্তর্জাল। প্রিন্ট ম্যাগাজিনের পাশাপাশি সাহিত্যবিষয়ক এ ওয়েব পোর্টাল ইতোমধ্যে নজর কেড়েছে বোদ্ধা পাঠকের। অনুপ্রাণন অন্তর্জালও সাহিত্যবিষয়ক বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঋদ্ধ, এ স্বপ্নসোপানের অভিযাত্রী হচ্ছেন অনেকে। লেখক ও পাঠককে সঙ্গে করে অনুপ্রাণন পাড়ি দিতে চায় আরো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর পথ। এই পথপরিক্রমায় শিল্পপ্রেমী সবাইকে পাশে চান অনুপ্রাণন প্রকাশক ও সম্পাদক আবু এম ইউসুফ।