ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি ২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল! সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে,স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ভালুকায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানে ১৪মন ঝাটকাসহ আটক ৫ কিশোরগঞ্জে শহরের একটি বাসা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শিক্ষামন্ত্রীর আয় বেড়ে ৪১ গুণ

  • ONLINE DESK
  • আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 109

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তাঁর আয় বেড়ে ৪১ গুণ হয়েছে। নিজ নামে অস্থাবর (টাকা, সঞ্চয়পত্র, সোনা ইত্যাদি) সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৯ গুণ।

দীপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদপুর–৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়।

দীপু মনি এবারও চাঁদপুর–৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে পেশা হিসেবে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে একটি মামলা ছিল, যা খারিজ হয়েছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে নিজের পেশা থেকে দীপু মনির আয় ছিল বছরে তিন লাখ টাকা। এবার তিনি তিনটি খাতে মোট আয় দেখিয়েছেন বছরে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় খাতে বিনিয়োগ থেকে তাঁর আয় তিন লাখ টাকার কিছু বেশি। মন্ত্রী হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা পান ২১ লাখ টাকার বেশি। অন্যান্য খাতে তিনি ৯৯ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন (আমানত ও সুদ, স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত)।

২০০৮ সালে দীপু মনির মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল নগদ। গাড়ির দাম তিনি দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা। ২৫ ভরি সোনা বাবদ তিনি ১ লাখ টাকা এবং আসবাব বাবদ ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।

২০২৩ সালে দীপু মনি মোট অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মূল্যের। এর মধ্যে নগদ রয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গাড়ির দাম ৬০ লাখ টাকা এবং সোনা ও অন্যান্য ধাতুর দাম ৯ লাখ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও আছে তাঁর কাছে।

২০০৮ সালে দীপু মনির কোনো ঋণ ছিল না। এখন তাঁর ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে দীপু মনির ৩টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি রয়েছে, যেগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি। ২০০৮ সালে তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি

শিক্ষামন্ত্রীর আয় বেড়ে ৪১ গুণ

আপডেট সময় : ১১:৫৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। ২০০৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে তাঁর আয় বেড়ে ৪১ গুণ হয়েছে। নিজ নামে অস্থাবর (টাকা, সঞ্চয়পত্র, সোনা ইত্যাদি) সম্পদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫৯ গুণ।

দীপু মনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ২০০৮ সালে প্রথম চাঁদপুর–৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়।

দীপু মনি এবারও চাঁদপুর–৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে যে হলফনামা দিয়েছেন, তাতে পেশা হিসেবে চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ, আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর নামে একটি মামলা ছিল, যা খারিজ হয়েছে।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে নিজের পেশা থেকে দীপু মনির আয় ছিল বছরে তিন লাখ টাকা। এবার তিনি তিনটি খাতে মোট আয় দেখিয়েছেন বছরে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় খাতে বিনিয়োগ থেকে তাঁর আয় তিন লাখ টাকার কিছু বেশি। মন্ত্রী হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা পান ২১ লাখ টাকার বেশি। অন্যান্য খাতে তিনি ৯৯ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন (আমানত ও সুদ, স্বামী ও ভাইয়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে প্রাপ্ত)।

২০০৮ সালে দীপু মনির মোট অস্থাবর সম্পদ ছিল ৫ লাখ টাকার সমপরিমাণ। এর মধ্যে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল নগদ। গাড়ির দাম তিনি দেখিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা। ২৫ ভরি সোনা বাবদ তিনি ১ লাখ টাকা এবং আসবাব বাবদ ৩০ হাজার টাকা দেখিয়েছিলেন।

২০২৩ সালে দীপু মনি মোট অস্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন প্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা মূল্যের। এর মধ্যে নগদ রয়েছে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা এবং সঞ্চয়পত্র ও সমজাতীয় বিনিয়োগ রয়েছে ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গাড়ির দাম ৬০ লাখ টাকা এবং সোনা ও অন্যান্য ধাতুর দাম ৯ লাখ টাকা দেখিয়েছেন তিনি। কিছু বৈদেশিক মুদ্রাও আছে তাঁর কাছে।

২০০৮ সালে দীপু মনির কোনো ঋণ ছিল না। এখন তাঁর ব্যক্তিগত ঋণের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে দীপু মনির ৩টি ফ্ল্যাট ও ১০ কাঠা জমি রয়েছে, যেগুলোর মূল্য দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার বেশি। ২০০৮ সালে তাঁর কোনো স্থাবর সম্পদ ছিল না।