ডাগআউটের সামনে পতাকা নিয়ে প্রস্তুত হয়েই ছিল একাদশের বাইরে থাকা বাকি ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতেও হাজার পাঁচেক দর্শকের উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা বুঝি মিরপুরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারাও প্রস্তুত ক্রিকেটারদের বিজয়ী ল্যাপ অব অনারের জবাব দিতে।
শেখ পারভেজ জীবনের করা ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ওমিদ রেহমান যখনই ক্যাচটা তুলে দিলেন মোহাম্মদ শিহাবের হাতে, ওমনি পতাকা নিয়ে দৌড়ে মাঠে প্রবেশ করলেন ডাগআউটে প্রস্তুত থাকা ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতে চলছে তখন উল্লাসের ঢেউ। ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো যে বাংলাদেশ!
২৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পরই বোঝা গিয়েছিলো, আরও একটি ম্যাচ জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। শুধু জয়ই নয়, যুবাদের এশিয়ান ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে জুনিয়র টাইগাররা।
কাজটা বাকি ছিল শুধু বোলারদের। মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ইমন, রোহানাত দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবনরা সেই কাজটা খুব সহজেই শেষ করে দিলেন। স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে অলআউট করে দিলেন মাত্র ৮৭ রানে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
আরব আমিরাতকে হারালো ১৯৫ রানে
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ডাগআউটের সামনে পতাকা নিয়ে প্রস্তুত হয়েই ছিল একাদশের বাইরে থাকা বাকি ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতেও হাজার পাঁচেক দর্শকের উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা বুঝি মিরপুরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারাও প্রস্তুত ক্রিকেটারদের বিজয়ী ল্যাপ অব অনারের জবাব দিতে।
শেখ পারভেজ জীবনের করা ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ওমিদ রেহমান যখনই ক্যাচটা তুলে দিলেন মোহাম্মদ শিহাবের হাতে, ওমনি পতাকা নিয়ে দৌড়ে মাঠে প্রবেশ করলেন ডাগআউটে প্রস্তুত থাকা ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতে চলছে তখন উল্লাসের ঢেউ। ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো যে বাংলাদেশ!
২৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পরই বোঝা গিয়েছিলো, আরও একটি ম্যাচ জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। শুধু জয়ই নয়, যুবাদের এশিয়ান ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে জুনিয়র টাইগাররা।
কাজটা বাকি ছিল শুধু বোলারদের। মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ইমন, রোহানাত দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবনরা সেই কাজটা খুব সহজেই শেষ করে দিলেন। স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে অলআউট করে দিলেন মাত্র ৮৭ রানে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখেই চমক দেখিয়ে দিয়েছিলো আরব আমিরাত। ফাইনালে উঠে আসা যে কোনো দলই সমীহ পাওয়ার যোগ্য। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এই আরব আমিরাতকে হারালেও ফাইনালের কঠিন পরীক্ষায় স্নায়ুর চাপে কে এগিয়ে থাকবে, কে পিছিয়ে থাকবে- সেটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিন্তু আরব আমিরাতের ক্রিকেটাররা যে এমন অসহায় আত্মসমর্পন করবে, তা হয়তো ঘূর্ণাক্ষরেও কেউ ভাবতে পারেনি। প্রথমে আশিকুর রহমান শিবলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, এরপর মারুফ মৃধা, রোহানাত দৌলা বর্ষণ, ইকবাল হোসেন ইমন এবং শেখ পারভেজ জীবনদের নিয়ন্ত্রিন এবং বিধ্বংসী বোলিংয়ে এশিয়ার সেরার মুটুক উঠলো বাংলাদেশ দলের মাথায়।
আরব আমিরাতকে হারালো ১৯৫ রানে
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
ডাগআউটের সামনে পতাকা নিয়ে প্রস্তুত হয়েই ছিল একাদশের বাইরে থাকা বাকি ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতেও হাজার পাঁচেক দর্শকের উল্লাস দেখে মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা বুঝি মিরপুরেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তারাও প্রস্তুত ক্রিকেটারদের বিজয়ী ল্যাপ অব অনারের জবাব দিতে।
শেখ পারভেজ জীবনের করা ২৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ওমিদ রেহমান যখনই ক্যাচটা তুলে দিলেন মোহাম্মদ শিহাবের হাতে, ওমনি পতাকা নিয়ে দৌড়ে মাঠে প্রবেশ করলেন ডাগআউটে প্রস্তুত থাকা ক্রিকেটাররা। গ্যালারিতে চলছে তখন উল্লাসের ঢেউ। ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলো যে বাংলাদেশ!
২৮২ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পরই বোঝা গিয়েছিলো, আরও একটি ম্যাচ জিততে যাচ্ছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। শুধু জয়ই নয়, যুবাদের এশিয়ান ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন হতে যাচ্ছে জুনিয়র টাইগাররা।
কাজটা বাকি ছিল শুধু বোলারদের। মারুফ মৃধা, ইকবাল হোসেন ইমন, রোহানাত দৌলা বর্ষণ এবং শেখ পারভেজ জীবনরা সেই কাজটা খুব সহজেই শেষ করে দিলেন। স্বাগতিক আরব আমিরাতকে ২৪.৫ ওভারে অলআউট করে দিলেন মাত্র ৮৭ রানে। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে স্বাগতিকদের ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখেই চমক দেখিয়ে দিয়েছিলো আরব আমিরাত। ফাইনালে উঠে আসা যে কোনো দলই সমীহ পাওয়ার যোগ্য। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এই আরব আমিরাতকে হারালেও ফাইনালের কঠিন পরীক্ষায় স্নায়ুর চাপে কে এগিয়ে থাকবে, কে পিছিয়ে থাকবে- সেটাই ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিন্তু আরব আমিরাতের ক্রিকেটাররা যে এমন অসহায় আত্মসমর্পন করবে, তা হয়তো ঘূর্ণাক্ষরেও কেউ ভাবতে পারেনি। প্রথমে আশিকুর রহমান শিবলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, এরপর মারুফ মৃধা, রোহানাত দৌলা বর্ষণ, ইকবাল হোসেন ইমন এবং শেখ পারভেজ জীবনদের নিয়ন্ত্রিন এবং বিধ্বংসী বোলিংয়ে এশিয়ার সেরার মুটুক উঠলো বাংলাদেশ দলের মাথায়।
আকবর হোসেনের নেতৃত্বে তানজিদ তামিম, তানজিম সাকিব, শরিফুল, তাওহিদ হৃদয়রা জয় করেছিলো বিশ্বকাপ। এবার মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বে আশিক, জিসান, রিজওয়ান, মৃধা, আহরার এবং জীবনরা জিতলো এশিয়ার স্রেষ্ঠত্বের মুকুট।
২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে ন্যুনতম প্রতিরোধও গড়তে পারেনি আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। সর্বোচ্চ ২৫ রান (অপরাজিত) করেন ধ্রুব পারাসার। অক্ষত রাই করেন ১১ রান। আর কোনো ব্যাটারই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
মারুফ মৃধা এবং রোহানাত দৌলা বর্ষণ নেন ৩টি কর উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন এবং শেখ পারভেজ জীবন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আরব আমিরাতের সামনে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি খেলেছেন ১২৯ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস।
এবারের এশিয়া কাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন আশিকুর রহমান শিবলি। এ নিয়ে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ১১৬ রানের ইনিংস। জাপানের বিপক্ষে খেলেছেন অপরাজিত ৫৫ এবং আরব আমিরাতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই ওপেনার জিশান আহমেদের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যুব টাইগাররা। কিন্তু দ্রুতই সামলে নেন আশিকুর রহমান শিবলি এবং চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
দু’জনের ১২৫ রানের অনবদ্য জুটি গড়ে তোলেন এই দু’জন। ৭১ বলে ৬০ রান করে রিজওয়ান আউট হলেও আশিকুর রহমান সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যান। তার সঙ্গে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন আরিফুল ইসলাম। ৪০ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে বেশ কয়েকটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এমনকি ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে আউট হয়ে যান আশিকুর রহমান শিবলিও। ১৪৯ বলে ১২ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ১২৯ রান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮২ রান।