ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম ::
রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাগমারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহক মৃত্যুতে নমিনীকে বীমার চেক হস্থান্তর গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনা ৪ ঘণ্টায়,শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশের স্কুলের ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে: শিক্ষা সচিব শিবগঞ্জে শোলা গাড়ি সাহা লাস্কর জিলানী ( রা) দাখিল মাদ্রাসা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বর্ণাঢ্য দিবস উদযাপিত চট্টগ্রামে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের শ্রদ্ধাঞ্জলি

আপন ভাই-বোনের লড়াই কিশোরগঞ্জ-১

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আপন ভাই-বোন নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নির্বাচিত হওয়ার পর এখানকার উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয় তার। ফলে যতবারই তিনি প্রার্থী হয়েছেন, এখানকার মানুষ তাকে ততবারই আপনজন মনে করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর পর তারই সহোদর ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাকিয়া নূর লিপিকে। আর তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারই বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম।

তথ্যসূত্রগুলো বলছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে সাফায়াতকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে। হোসেনপুর উপজেলায় তৈরি হয়েছে তার বড় একটি বলয়। দলীয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কেন সমর্থন দিয়েছেন- এমন প্রশ্নে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য বিগত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগকে একপ্রকার ধ্বংস করে ফেলেছেন। উন্নয়ন কর্মকান্ড তেমন কিছুই করেননি, বরং নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত বাহিনী তৈরি করেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করিনি। দলকে বাঁচানো এবং উন্নয়নের গতি বাড়ানোর জন্য এবার আমরা পরিবর্তন চাই।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

আপন ভাই-বোনের লড়াই কিশোরগঞ্জ-১

আপডেট সময় : ০১:৫৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আপন ভাই-বোন নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। এই আসনে টানা পাঁচবারের সংসদ সদস্য ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো এ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ নজরুল ইসলামের জ্যেষ্ঠ পুুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। নির্বাচিত হওয়ার পর এখানকার উন্নয়ন কর্মকান্ডসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয় তার। ফলে যতবারই তিনি প্রার্থী হয়েছেন, এখানকার মানুষ তাকে ততবারই আপনজন মনে করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর পর তারই সহোদর ছোট বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপিকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জাকিয়া নূর লিপিকে। আর তার বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তারই বড় ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম।

তথ্যসূত্রগুলো বলছে, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ আনুষ্ঠানিকভাবে সাফায়াতকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেছে। হোসেনপুর উপজেলায় তৈরি হয়েছে তার বড় একটি বলয়। দলীয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কেন সমর্থন দিয়েছেন- এমন প্রশ্নে সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম একটি গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য বিগত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগকে একপ্রকার ধ্বংস করে ফেলেছেন। উন্নয়ন কর্মকান্ড তেমন কিছুই করেননি, বরং নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত বাহিনী তৈরি করেছেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামের কন্যা হওয়ায় আমরা প্রতিবাদ করিনি। দলকে বাঁচানো এবং উন্নয়নের গতি বাড়ানোর জন্য এবার আমরা পরিবর্তন চাই।