ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি ২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল! সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে,স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ভালুকায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে মৎস্য কর্মকর্তার অভিযানে ১৪মন ঝাটকাসহ আটক ৫ কিশোরগঞ্জে শহরের একটি বাসা থেকে এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‘ তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও’

  • শাহনাজ খুশী
  • আপডেট সময় : ০৭:২৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩
  • 112

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। 

‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাদের। 

মা-ছেলের মর্মান্তিক এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন। 

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড পেজে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারপাশ, সব জায়গা খুব বেশি অচেনা লাগে এখন! টিকটক/ফ্যাশান শো/বিউটিকাম দিয়ে ছবি প্রর্দশন/রেস্টুরেন্টে পার্টি আর ফুড শো’অফের ভিড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগে আজকাল।

তির্যক হাস্যকর আক্রমণের তীর ছোড়াছুড়ি দেখে এখন দূরে থাকি সব কিছু থেকে। কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু থেকে দূরে থাকা যায়! বাচ্চাটার চোখ দুইটা, আর মায়ের মুখের প্রশান্তি হাসি, বাবার মর্গের সামনের নির্বাক আহাজারি দিনটাকে বিষাদ করে দিল! খাবার স্বাদহীনতায় ভরে দিল। 

কিসের বলি তারা? এ পরিবার কোনো বিরোধী দলের নেতার নয়, কোনো এমপি মন্ত্রীর না, কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরও না! তাদের আমি চিনি না, জানি না কিন্তু প্রতি মুহূর্তে অপরাধী হয়ে যাই এমন চোখের স্থির দৃষ্টিতে! ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাদের।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি

‘ তোমরা আমাদের ক্ষমা করে দিও’

আপডেট সময় : ০৭:২৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় ট্রেনের ভেতরে আটকা পড়ে পুড়ে মারা গেছেন নাদিরা আক্তার পপি (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। এ ঘটনায় আরও দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, নেত্রকোনা সদরের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পাঁচজন। এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় কামরা। 

‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতে সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিন। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় তাদের। 

মা-ছেলের মর্মান্তিক এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না নেটিজেনরা। তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় পপি ও তার ছেলের ছবি শেয়ার করে শোক প্রকাশ করছেন। অনেকেই এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করছেন। 

বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড পেজে লেখা ওই স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সোশ্যাল মিডিয়া থেকে চারপাশ, সব জায়গা খুব বেশি অচেনা লাগে এখন! টিকটক/ফ্যাশান শো/বিউটিকাম দিয়ে ছবি প্রর্দশন/রেস্টুরেন্টে পার্টি আর ফুড শো’অফের ভিড়ে নিজেকে বড় বেমানান লাগে আজকাল।

তির্যক হাস্যকর আক্রমণের তীর ছোড়াছুড়ি দেখে এখন দূরে থাকি সব কিছু থেকে। কিন্তু চাইলেই কি সব কিছু থেকে দূরে থাকা যায়! বাচ্চাটার চোখ দুইটা, আর মায়ের মুখের প্রশান্তি হাসি, বাবার মর্গের সামনের নির্বাক আহাজারি দিনটাকে বিষাদ করে দিল! খাবার স্বাদহীনতায় ভরে দিল। 

কিসের বলি তারা? এ পরিবার কোনো বিরোধী দলের নেতার নয়, কোনো এমপি মন্ত্রীর না, কোনো মিছিল মিটিংয়ে অংশগ্রহণকারীরও না! তাদের আমি চিনি না, জানি না কিন্তু প্রতি মুহূর্তে অপরাধী হয়ে যাই এমন চোখের স্থির দৃষ্টিতে! ক্ষমা করে দিও তোমরা আমাদের।’