একতরফা নির্বাচন ও নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে ২২ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, সরকার দেশের সম্পদ নষ্ট করে তামাশার নির্বাচনের নামে জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছে। দেশ-বিদেশের প্রবল আপত্তিকে আমলে না নিয়ে সরকার পাতানোর একতরফা নির্বাচনের নামে নাটক করছে। বিরোধীদলগুলোকে বাইরে রেখে খালি মাঠে গোল দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বাচনের আগে ঠিক করছে কে বিরোধীদল হবে। এভাবে নির্বাচনের নামে জাতিকে ধোঁকা দিচ্ছে অবৈধ সরকার।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচি গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী।
চরমোনাই পীর বলেন, সরকারের একগুয়েমির কারণে দেশ ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পরতে যাচ্ছে দেশ। কাজেই জনগণের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে সরকার গায়ের জোরে নির্বাচন করে দেশকে বয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শিক্ষা কারিকুলাম সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন শিক্ষা কারিকুলামের মাধ্যমে সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নতুন প্রজন্মকে নাস্তিক ও মেধাশূন্য করার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিল করে বিরানব্বই ভাগ মানুষের চিন্তা-চেতনা অনুযায়ী নতুন শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, জাতিসত্তাবিরোধী যে কোনো সিদ্ধান্ত বাতিল না করলে সর্বত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।