তুমি কি এখন রাতে ঘুমাও না?
রাতে ঘুম হয় তোমার?
খুব জলদিই কি ঘুমিয়ে পড়ো?
তবে যে বলতে আমার সাথে কথা না হলে
তোমার ঘুম আসেনা। তুমি ঘুমুতে পারো না!
এখন তো আমার সাথে কথা হয়না।
তাহলে তুমি ঘুমাও কী করে!
তবে কি আমাকে বলা কথাগুলো মিথ্যে ছিল?
মিথ্যে ছিল জেগে থাকা রাত্রিগুলো!
আচ্ছা, তুমি কি সত্যিই ঘুমিয়ে পড়ো?
আমাকে না শুনেই কি ঘুমুতে পারো?
নাকি জেগেই থাকো!
আমার না বিশ্বাস হয়না।
এখনো কানে বাজে, তোমার প্রতিটা কথা।
এখনো চোখে ভাসে একটা রাত কথা না হলে তোমার সে কী ব্যাকুলতা!
জানো,
মাঝে মাঝে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে
আমি চমকে ওঠি।
ফোন হাতে আলো জ্বলে দেখি।
তোমার কোন কল এলো কিনা!
একটা ক্ষুদেবার্তা!
নাহ,
কোন ফোনকল নেই।
নেই কোন ক্ষুদেবার্তাও।
ফাঁকা স্কীনে একটা আকাশ ভেসে ওঠে।
দীর্ঘশ্বাসের আকাশ!
জানো,
সে রাতে আমি আর ঘুমুতে পারিনা।
পুবের জানালাটা খুলে দিই।
জানালার পর্দা কাঁপিয়ে হুড়মুড় করে ভেতরে ঢুকে রাতের জমানো বাতাস।
আমার তাতেও ভালো লাগে না।
আমি তখন সিঁড়িদোর খুলে দিয়ে
ছাদে এসে দাঁড়াই।
তারপর অনন্ত তৃষ্ণা নিয়ে রাতের আকাশ দেখি।
মধ্যরাতের আকাশ।
কোন কোন রাতে আকাশে তারা থাকে।
নিঃসঙ্গ রাতের বুকে সেইসব তারার দিকে তাকিয়ে আমার তোমার কথা মনে পড়ে।
আমার তখন দশ দিক জাগিয়ে কান্না করতে
ইচ্ছে করে। কোন কোন রাতে আমি কাঁদিও।
জানো,
কান্না করতে করতেই মনে পড়ে;
এমন নিস্তব্দ রাতে পৃথিবীর কোথাও
কেউ একজন জেগে আছে।
আমার জন্যে!
আমাকে শোনার জন্যে!
আমার তখন সব ছেড়ে
তোমার কাছে চলে যেতে ইচ্ছে করে।
তারপর কাছাকাছি বসে ফিসফিস করে
বলতে ইচ্ছে করে ‘ভালোবাসি তো’
‘এবার ঘুমিয়ে পড়ো’।