ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১
শিরোনাম ::
রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাগমারা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায়, নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স এর গ্রাহক মৃত্যুতে নমিনীকে বীমার চেক হস্থান্তর গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় আহত ১৩ চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কলাউজন ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রেলপথ ধরে খুলনা ৪ ঘণ্টায়,শুরু হবে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশের স্কুলের ছাত্ররা কওমি মাদরাসায় চলে যাচ্ছে: শিক্ষা সচিব শিবগঞ্জে শোলা গাড়ি সাহা লাস্কর জিলানী ( রা) দাখিল মাদ্রাসা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস ও বর্ণাঢ্য দিবস উদযাপিত চট্টগ্রামে লোহাগাড়া জেনারেল হাসপাতালের শ্রদ্ধাঞ্জলি

নকিব হাসান : চামড়াজাত পণ্যের সফল উদ্যোক্তা

ঢাকা : তরুণ উদ্যোক্তা নকিব হাসান। কাজ করছেন চামড়াজাত পণ্য নিয়ে। তার স্বপ্ন চামড়াজাত পণ্যে একদিন বিশ্বমাত করবেন। এখনকার এই উদ্যোক্তার প্যাশন হচ্ছে ফটোগ্রাফি। দারুন সব ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তার প্রতিটি ছবিই এক একটি গল্প তুলে আনে। ফ্রেমে ফ্রেমে গল্প সাজান তিনি। তার সেই ছবির গল্প নেটিজেনদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

করোনা মহামারিতে মানুষ যখন ঘরবন্দি, তিনি তখন ‘এভারঅন’ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ খুলে শুরু করেন চামড়াজাত পণ্যের কেনাবেচা। একপর্যায়ে নিজেই কারখানা চালু করেন।

অনলাইনের পাশাপাশি যাত্রাবাড়ির দনিয়ায় একটি আউটলেটও আছে ‘এভারঅন’-এর। আরও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। মেধা ও মননে তরুণ নকিব হাসান একজন সফল উদ্যোক্তা। তার মুখ থেকেই শুনবো তার এগিয়ে চলার আদ্যোপান্ত।

ফটোগ্রাফির শুরুটা কিভাবে?

২০১৫ সালে শখ থেকে ফটোগ্রাফি শুরু করি। কারো ভালো মোবাইল ফোন হাতে পেলেই ছবি তুলতাম। এখনও ফটোগ্রাফি আমার কাছে প্যাশন। প্রতিটি ক্লিকেই একটি গল্প বলার চেষ্টা করি। এভাবেই সমৃদ্ধ হচ্ছে আমার ছবির গল্প।

ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে চামড়াজাত পণ্যের উদ্যোক্তা হলেন কিভাবে?

ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে সবসময় শখের জায়গা। তাই প্যাশনটাকে প্রফেশন করতে চাইনি। যাতে কাজের চাপে শখটাতে কখনই বিরক্ত না আসে।

কিভাবে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসার সাথে নিজেকে জড়ালেন?

২০১৭ সাল থেকে ‘এভারঅন’-এর যাত্রা শুরু। তখন অন্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টের রিসেলার হিসেবে অনলাইনে বিক্রি করতাম। মাঝে দীর্ঘ বিরতি। করোনা মহামারিতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নতুন উদ্যমে ‘এভারঅন’ নিয়ে পথচলা শুরু হয়। চামড়াজাত পণ্য নিয়ে কাজ করা আমার কাছে খুব ক্রিয়েটিভ এবং প্রিমিয়াম মনে হয়।

ওয়ালেট, বেল্ট ছাড়া আর কি কি আইটেম তৈরির পরিকল্পনা আছে আপনার?

এখন শুধু ওয়ালেট, বেল্ট নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হলেও খুব শিগগিরই সবধরনের ধরনের চামড়াজাত পণ্য ‌‘এভারঅন’-এ যুক্ত হবে।

ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

৫ বছর পর ‘এভারঅন’-কে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চামড়াজাত পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে নিয়ে যেতে চাই। চামড়াজাত যেকোনো পণ্য কিনতে হলে সবার মাথায় যেন প্রথমেই ‘এভারঅন’-এর নামটা আসে।

দেশের বাইরে ‘এভারঅন’-এর পণ্য রফতানির পরিকল্পনা আছে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে যাত্রাবাড়ির দনিয়ায় একটি আউটলেট আছে। আমরা ঢাকায় আরও কয়েকটি আউটলেট খোলা হবে। ঢাকার বাইরেও ‘এভারঅন’-এর আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীর বাগমারাতে ইটভাটাগুলোতে কয়লার বদলে পুড়ছে কাঠ,কালো ধোঁয়ায় পরিবেশ নষ্ট

নকিব হাসান : চামড়াজাত পণ্যের সফল উদ্যোক্তা

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

ঢাকা : তরুণ উদ্যোক্তা নকিব হাসান। কাজ করছেন চামড়াজাত পণ্য নিয়ে। তার স্বপ্ন চামড়াজাত পণ্যে একদিন বিশ্বমাত করবেন। এখনকার এই উদ্যোক্তার প্যাশন হচ্ছে ফটোগ্রাফি। দারুন সব ছবি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তার প্রতিটি ছবিই এক একটি গল্প তুলে আনে। ফ্রেমে ফ্রেমে গল্প সাজান তিনি। তার সেই ছবির গল্প নেটিজেনদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

করোনা মহামারিতে মানুষ যখন ঘরবন্দি, তিনি তখন ‘এভারঅন’ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ খুলে শুরু করেন চামড়াজাত পণ্যের কেনাবেচা। একপর্যায়ে নিজেই কারখানা চালু করেন।

অনলাইনের পাশাপাশি যাত্রাবাড়ির দনিয়ায় একটি আউটলেটও আছে ‘এভারঅন’-এর। আরও আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে তার। মেধা ও মননে তরুণ নকিব হাসান একজন সফল উদ্যোক্তা। তার মুখ থেকেই শুনবো তার এগিয়ে চলার আদ্যোপান্ত।

ফটোগ্রাফির শুরুটা কিভাবে?

২০১৫ সালে শখ থেকে ফটোগ্রাফি শুরু করি। কারো ভালো মোবাইল ফোন হাতে পেলেই ছবি তুলতাম। এখনও ফটোগ্রাফি আমার কাছে প্যাশন। প্রতিটি ক্লিকেই একটি গল্প বলার চেষ্টা করি। এভাবেই সমৃদ্ধ হচ্ছে আমার ছবির গল্প।

ফটোগ্রাফিকে পেশা হিসেবে না নিয়ে চামড়াজাত পণ্যের উদ্যোক্তা হলেন কিভাবে?

ফটোগ্রাফিটা আমার কাছে সবসময় শখের জায়গা। তাই প্যাশনটাকে প্রফেশন করতে চাইনি। যাতে কাজের চাপে শখটাতে কখনই বিরক্ত না আসে।

কিভাবে চামড়াজাত পণ্যের ব্যবসার সাথে নিজেকে জড়ালেন?

২০১৭ সাল থেকে ‘এভারঅন’-এর যাত্রা শুরু। তখন অন্য ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টের রিসেলার হিসেবে অনলাইনে বিক্রি করতাম। মাঝে দীর্ঘ বিরতি। করোনা মহামারিতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে নতুন উদ্যমে ‘এভারঅন’ নিয়ে পথচলা শুরু হয়। চামড়াজাত পণ্য নিয়ে কাজ করা আমার কাছে খুব ক্রিয়েটিভ এবং প্রিমিয়াম মনে হয়।

ওয়ালেট, বেল্ট ছাড়া আর কি কি আইটেম তৈরির পরিকল্পনা আছে আপনার?

এখন শুধু ওয়ালেট, বেল্ট নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হলেও খুব শিগগিরই সবধরনের ধরনের চামড়াজাত পণ্য ‌‘এভারঅন’-এ যুক্ত হবে।

ব্যবসা নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

৫ বছর পর ‘এভারঅন’-কে বাংলাদেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চামড়াজাত পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে নিয়ে যেতে চাই। চামড়াজাত যেকোনো পণ্য কিনতে হলে সবার মাথায় যেন প্রথমেই ‘এভারঅন’-এর নামটা আসে।

দেশের বাইরে ‘এভারঅন’-এর পণ্য রফতানির পরিকল্পনা আছে। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। বর্তমানে যাত্রাবাড়ির দনিয়ায় একটি আউটলেট আছে। আমরা ঢাকায় আরও কয়েকটি আউটলেট খোলা হবে। ঢাকার বাইরেও ‘এভারঅন’-এর আউটলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।