ঢাকা ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১
শিরোনাম ::
নীলফামারীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত কাল পহেলা বৈশাখ বিরাজ করছে, উৎসবের আমেজ শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব অবহেলার দায়ে কেন্দ্রের ৪ শিক্ষক অব্যাহতি ২৪ ঘন্টায় শিশু সহ চারটি ধর্ষণের অভিযোগ, অন্তঃপর.. হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হওয়া, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি গণধোলাই অভিনব প্রতারণার বিশাল এক ফাঁদ পেতে ছিল মা-মেয়ে, শেষে রক্ষা হলো না আর সাক্ষী দিতে এসে,কাটাখালি হাইওয়ে থানার ওসি জুবাইর আহমেদের মৃত্যু পরকীয়া স্ত্রীর পাপ’ থেকে মুক্ত করার জন্য ২০ লিটার গরুর দুধ দিয়ে গোসল! সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে,স্বল্পমূল্যে মিলবে ওষুধ ভালুকায় ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল

শিশুকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার উপায় জেনে নিন

শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি নিয়ে বর্তমানে মা-বাবা দুশ্চিন্তা করেন। এখনকার বেশিরভাগ শিশুই স্মার্টফোনে গেম খেলতে বা ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করে। মোবাইল ফোন একবার হাতে পেলে তারা সেটি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে ফেলতে পারে। এর ফলে তারা বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে শারীরিক কার্যকলাপ। তাই শিশুর হাতে যতটা সম্ভব ফোন দেওয়া বন্ধ করুন। শিশুকে ফোন থেকে দূরে রাখতে চাইলে করতে হবে কিছু কাজ।
১. নিজেকেও ফোন থেকে দূরে রাখুন
আপনার স্মার্টফোনগুলোকে দূরে রাখুন, বিশেষ করে যখন পরিবারে কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানো কমিয়ে আনুন। সেইসঙ্গে শিশুর সামনে ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। কারণ আপনাকে দেখেই শিশু শিখবে। তাই তাকে ফোন থেকে দূরে রাখতে চাইলে আগে নিজের অভ্যাস তৈরি করুন।
২. নির্দিষ্ট সময়ে নো ডিভাইস নিয়ম অনুসরণ করুন
শিশুরা নির্দিষ্ট সময়ে যেমন খাবার সময় এবং ঘুমানোর আগে ডিভাইস ব্যবহার যেন না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশুদের ঘুমের সময় নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিছানার পাশে যেন ডিভাইস না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এছাড়া তাদের প্রতিদিন ভালো ঘুমের জন্য অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন। এতে তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৩. শিশুকে শখ কাজ শেখান
নাচ, সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, সঙ্গীত বা শিশুর পছন্দের কিছু শেখানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। নিজেই করা যায় এমন কাজ শিশুকে করতে শেখাতে পারেন। তাদের কোনো সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন। এটি তাদের অবসর সময়গুলোতে ব্যস্ত এবং উৎপাদনশীল রাখবে। যা তার মেধা বিকাশেও কাজ করবে।
৪. রাতের খাবারের আগে বা পরে পারিবারিক আড্ডা
পুরো পরিবারের একসঙ্গে অন্তত রাতের বেলা সময় কাটানোর ব্যবস্থা করুন। হতে পারে তা মজার কোনো খেলা, মজার গল্প বলা বা নিছকই আড্ডা দেওয়া। সবাইকে নিয়ে সময় কাটান। শিশুদের সৃজনশীল কিছু করার জন্য বলতে পারেন। তারা আবৃত্তি শোনাতে পারে কিংবা গান গেয়ে শোনাতে পারে। বড়রাও তাদের সঙ্গে অংশ নিতে পারেন। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দময় স্মৃতি তৈরি করার বিকল্প নেই। এটি শিশুকে একজন হাসিখুশি আর ইতিবাচক মানুষ হিসেবে তৈরি করবে।
৫. বই পড়তে দিন
শিশুদের বই পড়া উপভোগ করতে উৎসাহিত করুন। পুরো পরিবারের জন্য প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে পড়ার জন্য সময় আলাদা করুন। পড়া শেষ হলে শিশুরা তাদের বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তারা যে বইগুলো পড়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
৬. বাইরে খেলা
শিশুকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার একটি দুর্দান্ত উপায় হলো বাইরে গিয়ে রোদ এবং প্রকৃতি উপভোগ করা। যখনই সম্ভব, আপনার শিশুদের সঙ্গে পার্কে বেড়াতে যান। সম্ভব হলে ক্রিকেট, ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন খেলা উপভোগ করুন। এই ক্রিয়াকলাপগুলো শিশুদের শুধু প্রতিযোগিতামূলকই করে তুলবে না, তারা যথেষ্ট সময়ের জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয়ও থাকতে পারবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

নীলফামারীতে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

শিশুকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার উপায় জেনে নিন

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৪

শিশুর মোবাইল ফোন আসক্তি নিয়ে বর্তমানে মা-বাবা দুশ্চিন্তা করেন। এখনকার বেশিরভাগ শিশুই স্মার্টফোনে গেম খেলতে বা ভিডিও কন্টেন্ট দেখতে পছন্দ করে। মোবাইল ফোন একবার হাতে পেলে তারা সেটি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে ফেলতে পারে। এর ফলে তারা বাইরের পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে শারীরিক কার্যকলাপ। তাই শিশুর হাতে যতটা সম্ভব ফোন দেওয়া বন্ধ করুন। শিশুকে ফোন থেকে দূরে রাখতে চাইলে করতে হবে কিছু কাজ।
১. নিজেকেও ফোন থেকে দূরে রাখুন
আপনার স্মার্টফোনগুলোকে দূরে রাখুন, বিশেষ করে যখন পরিবারে কোয়ালিটি টাইম কাটাবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটানো কমিয়ে আনুন। সেইসঙ্গে শিশুর সামনে ফোন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন। কারণ আপনাকে দেখেই শিশু শিখবে। তাই তাকে ফোন থেকে দূরে রাখতে চাইলে আগে নিজের অভ্যাস তৈরি করুন।
২. নির্দিষ্ট সময়ে নো ডিভাইস নিয়ম অনুসরণ করুন
শিশুরা নির্দিষ্ট সময়ে যেমন খাবার সময় এবং ঘুমানোর আগে ডিভাইস ব্যবহার যেন না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন। শিশুদের ঘুমের সময় নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বিছানার পাশে যেন ডিভাইস না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এছাড়া তাদের প্রতিদিন ভালো ঘুমের জন্য অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন। এতে তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
৩. শিশুকে শখ কাজ শেখান
নাচ, সাঁতার, জিমন্যাস্টিকস, সঙ্গীত বা শিশুর পছন্দের কিছু শেখানোর ব্যবস্থা করতে পারেন। নিজেই করা যায় এমন কাজ শিশুকে করতে শেখাতে পারেন। তাদের কোনো সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন। এটি তাদের অবসর সময়গুলোতে ব্যস্ত এবং উৎপাদনশীল রাখবে। যা তার মেধা বিকাশেও কাজ করবে।
৪. রাতের খাবারের আগে বা পরে পারিবারিক আড্ডা
পুরো পরিবারের একসঙ্গে অন্তত রাতের বেলা সময় কাটানোর ব্যবস্থা করুন। হতে পারে তা মজার কোনো খেলা, মজার গল্প বলা বা নিছকই আড্ডা দেওয়া। সবাইকে নিয়ে সময় কাটান। শিশুদের সৃজনশীল কিছু করার জন্য বলতে পারেন। তারা আবৃত্তি শোনাতে পারে কিংবা গান গেয়ে শোনাতে পারে। বড়রাও তাদের সঙ্গে অংশ নিতে পারেন। পরিবারের সবার সঙ্গে আনন্দময় স্মৃতি তৈরি করার বিকল্প নেই। এটি শিশুকে একজন হাসিখুশি আর ইতিবাচক মানুষ হিসেবে তৈরি করবে।
৫. বই পড়তে দিন
শিশুদের বই পড়া উপভোগ করতে উৎসাহিত করুন। পুরো পরিবারের জন্য প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে পড়ার জন্য সময় আলাদা করুন। পড়া শেষ হলে শিশুরা তাদের বাবা-মা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে তারা যে বইগুলো পড়েছে তা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
৬. বাইরে খেলা
শিশুকে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখার একটি দুর্দান্ত উপায় হলো বাইরে গিয়ে রোদ এবং প্রকৃতি উপভোগ করা। যখনই সম্ভব, আপনার শিশুদের সঙ্গে পার্কে বেড়াতে যান। সম্ভব হলে ক্রিকেট, ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন খেলা উপভোগ করুন। এই ক্রিয়াকলাপগুলো শিশুদের শুধু প্রতিযোগিতামূলকই করে তুলবে না, তারা যথেষ্ট সময়ের জন্য শারীরিকভাবে সক্রিয়ও থাকতে পারবে।