রাত ১ টা বাজে বর আট কেজি মাছের ব্যাগ আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে কাটতে বলে হনহনিয়ে নিজের রুমে চলে গেলে।আমি তার যাওয়ার পানে চেয়ে আছি। একটা মানুষ এতোটা নির্দয় কিভাবে হতে পারে।মাছ গুলো নিয়ে রান্না ঘরে রেখে তার জন্য খাবার বেড়ে রুমে নিয়ে গেলাম।খাবার তার সামনে রেখে চলে আসছিলাম পেছন থেকেই তার ডাক।
— “আলো কালকে সকালে আমি মাছ ভাজা খাবো তাই মাছ গুলো যেনো এখনই কেটে রাখো।আর হ্যা কালকে সকালেই যেনো আমি মাছ পাই”
— “জিই”
বলে বের হয়ে গেলাম।বাবা মা সখ করে নাম রেখেছিলো আলো।কিন্তু জীবনে আলোই আসলো না।অন্ধকার আর অন্ধকার দেখতে পাই।
পানির গ্লাস নিয়ে আমার বর শাওনের সামনে দাঁড়িয়ে আছি উনি ওনার মতোই খেয়ে যাচ্ছে। একটা বার জিজ্ঞেস করলো না যে আলো তুমি কি খেয়েছো। আমিও না কার কাছ থেকেই বা কি আশা করি।বিয়ের দেড় বছর হয়ে গিয়েছে আর আমি মা হতে পারিনি এরচেয়ে বড় কষ্ট আর কি হতে পারে।তাকে একটা বাচ্চা দিতে পারিনি তাই আজ আমার এই দশা।
.
শাওন খাবার শেষ করে শুয়ে পড়লো আমি সব গুছিয়ে লাইট অফ করে রান্না ঘরের দিকে গেলাম।এই বাড়ির নিয়ম বরের আগে স্ত্রী খাবার খেতে পারবে না তাই রোজ শাওনের জন্য রাত ১/২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করি।বাবা নামক ছায়াটা নেই তাই আমার এই অবস্থা।
পাতিলে অল্প ভাত ছিল তাই খেয়ে মাছ কাটতে বসলাম। মাছের দিকে চেয়ে মুচকি হেসে মাছকে বললাম,‘মাছ আজ না আসলেও পারতি আজও আমায় ঘুমানো যাবে না। জানিস তোহ আমি মাছ কাটতে পারিনা তারপরও অল্প শিখেছি আর কাটতে দেড়ি হয়। এই জিনিসটা শাওন জেনেও নিয়ে এসেছে।কি আর করার তোকে এখন আমার কাটতে হবে।’
মাছ কাটতে কাটতে নিজের কথাগুলো বলে ফেলি।
.
আমি আলো ইসলাম। আমাদের পরিবারে আমরা ৫ জন সদস্যই ছিলাম আমি আম্মু আব্বু আর ছোট ভাই আর আমার দাদী।আমার ভাই আমার থেকে দুই বছরের ছোট ছিলো। আমার আব্বু প্রবাসী ছিলো।
তখন আমি ক্লাস 6 এ পড়ি আব্বু একেবারের জন্য এসে পড়ে।দিনকাল ভালো যাচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎ কি যে হলো আমাদের জীবন একেবারে অন্ধকার নেমে আসলো আব্বু রোড এক্সিডেন্ট এ মারা গেলো আর আমরা এতিম হয়ে গেলাম কোথাও যাওয়ার যায়গা নেই।
আত্নীয় স্বজনও আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো শেষ ফলে আমার মা ও দাদী মিলে সিদ্ধান্ত নিলো আমাকে পড়াশোনা ছেড়ে কাজে লাগতে হবে। কি আর করার ক্লাস 8 এ আমার পড়াশোনার অবসান ঘটে কিন্তু আমার ভাই পড়াশোনা করছে। করবেই না কেনো বংশের একমাত্র ছেলে লেখাপড়া না করলে কি হয়।
মায়ের কাছ থেকে সেলাই কাজ শিখে তা দিয়ে শুরু করলাম আর আশেপাশের বাড়ির ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়িয়েই চলতো আমাদের জীবন। (আমার মায়ের কোমরে ব্যথা থাকতো তাই উনি সেলাই করতো না)।আমার মা মাঝে মাঝে বাবার বাড়ি থেকে কিছু সাহায্য পেতো হঠাৎ তাও বন্ধ হয়ে গেলো। মামা আর সাহায্য করতে পারবে না সাফ সাফ জানিয়ে দিলো।
ছোট থেকেই আমার দাদী আমায় দেখতে পারতো না কারন মেয়ে হয়ে জন্মেছি তাই।আমার দাদীর সাথে মাও তেমন হয়ে গিয়েছে।সারাদিন সেলাই, আর টিউশনি,সাথে বাসায় সব কাজ আর রান্নাবান্না আমায়ই করতে হতো।
হয়তো এইসবের কারনেই সংসার জীবনে কাজের জন্য কথা কম শুনতে হয়েছে।আমার জীবনের প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত অন্য কেউ নিয়েছে।আর সিদ্ধান্ত সব সময়ের মতো ভুল ছিলো। আমি কি চাই তা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই। হয়তো সবাই আমাকে মানুষ কম রোবট বেশি ভাবতো।
আমার বয়স যখন ২৪ তখন আমার বিয়ে হয় শাওনের সাথে। বিয়ে নিয়েও কতোশত কথা।কেউ আমায় বিয়ে করতে চায়নি।আমার নাকি দোষ আছে আমি নাকি ভালো না তাই তোহ বড় বোন রেখে ছোট ভাই বিয়ে করে ফেলেছে।
এমন অনেক কথা শুনেই যাচ্ছিলাম। আমার পরিবার আমায় বিয়ে দেয়নি কারন আমি তাদের প্রয়োজন ছিলাম।যখনই দেখলো তাদের ছেলে বিয়ে করে ফেলেছে পড়াশোনার পাশাপাশি একটা কাজ করছে। তখন আমায় ব্যবহার করা টিস্যুর মতো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
.
আমার ছোট ভাই আকরামের যখন ২১ বছর বয়স হঠাৎ করেই সে এক মেয়েকে নিয়ে হাজির। বাসায় এসে বললো, সে বিয়ে করেছে। তখন আমি ২৩ বছরে পা দিয়েছি। আমি হাসি মুখে ছোট ভাইয়ের বউকে বরন করে নিয়েছিলাম। তারজন্যও আমায় কথা শুনতে হয়েছিলো। আমি কখনো কোনো কিছুর প্রতিবাদ করিনি।আর করার প্রয়োজনও পরেনি কারন এইসব আস্তে আস্তে সয়ে গিয়েছিলো।
এভাবে হুট করে আকরামের বিয়ের কারনে সমাজ ও পরিবারের কাছে আমি হাসির পাত্র আর বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম। যে যেভাবে পেরেছে আমায় মেশিনের মতো ব্যবহার করেছে।
.
ঠিক এক বছর পর আকরামের শাশুড়ী আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আনে।মা আর দাদী না দেখেই রাজি হয়ে যায়। হবেই না কেন বাড়ি থেকে যত তারাতারি সম্ভব বিদায় করতে পারলেই হলো। আমি তখনো চুপ ছিলাম। অতঃপর শাওনের সাথে আমার বিয়েটা হয়েই গেলো। বিয়ের পর জানলাম শাওন মুদির দোকানদার। ইনকাম ভালোই কিন্তু তার জুয়ার নেশা আছে। তার জন্য সে রোজ রাতে দেরি করে বাসায় ফিরতো।
মাছ কাটতে কাটতে ভোর হয়ে গেলো।আজান দিচ্ছে আজও ঘুমাতে পারলাম না। মাছ গুলো নিয়ে ধুয়ে রেখে রুমের দিকে পা বাড়ালাম।নিজের রুমের কাছে এসে চুপ করে তাকিয়ে রইলাম।আমার রুম থেকে আমার বরের খালাতো বোন রুপা বের হয়ে আমাকে দেখে অবাক।
— ‘আরেএ ভাবি আমি আসলে আপনাকে খুঁজছিলাম । আপনি কোথায় ছিলেন।’ (রুপা)
— ‘রান্না ঘরে ছিলাম(শান্ত ভাবে) তোহ আজ কি নিতে এসেছেন।ফোনের চার্জার নাকি চিরুনি নাকি টর্চ লাইট।’
— ‘আসলে আমার না চা খেতে ইচ্ছে করছিলো তাই আপনার কাছে আসলাম এক কাপ চা বানিয়ে দিতেন তাই।’
— ‘আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যান আমি নিয়ে আসছি।’
— ‘না ভাবি থাক আমার লাগবে না। এখন আর ইচ্ছে নেই।’
বলে দ্রুত পায়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ালো। আমি তার যাওয়ার পানে চেয়ে আছি। এটা নতুন কিছু নয়। পড়াশোনার জন্য শাওনের খালাতো বোন ওদের সাথে থেকেই ভার্সিটিতে পড়ছে। রোজ রোজ রাত বিরাতে আমাদের রুমে এসে পড়া তার রুটিন্ হয়ে গেছে।এই বিষয়ে আমার বর ও শ্বশুরশাশুড়ীকে বলায় অনেক কথা শুনতে হয়েছিলো।এরপর থেকে কিছু বলিনা কাউকে।রাত বিরাতে রুপাকে চা, নুডলস বানিয়ে দিতে হবেই। কারন সে বাড়ির অতিথি আর অতিথিকে আপ্যায়ন করতে হয়।কথাটা অবশ্য আমার বর বলেছে।
.
রুমে এসে বসেছি ৫ মিনিট হলো প্রচুর ঘুম পাচ্ছে কিন্তু ঘুমানো যাবে না। এই বাড়ির নিয়ম হলো বউ মানুষেরা বেশি ঘুমান না। অন্ধকার থাকতেই উঠে পড়ে। তাই নামাজ পড়ে, ঘর হালকা গুছিয়ে উঠান ঝারু দিয়ে রান্না ঘরে আসলাম।
ফ্রিজে এখনো গরুর মাংসের পাতিলটা পড়ে আছে। আমি খুব ভালোই রান্না করি আমার রান্নার অনেক প্রশংসাও পেয়েছি। অবশ্য আমার বড় ননাস সাথী আর ছোট ননদ সূচি আমার হাতের গরুর মাংস অনেক পছন্দ করে। আমার বর তার বোনদের অনেক ভালোবাসে। গতকাল তারা বেরাতে এসে বাসায় রাগারাগি আর কথা কাটাকাটি করে চলে যায়। এর জন্য আমিই দায়ি।কারন সব সময়ের মতো এবারও তাদের জন্য আমার বর বাজার থেকে মাংস কিনে নিয়ে এসেছে আর আমি তা রান্না করেছিলাম।কিন্তু খাবার টেবিলে বসে সবাই খাবার মুখে নিয়ে থু থু করছিলো।কিন্তু আপুরা একটা টু শব্দও করেনি। তারা আমার দিকে শুধু চেয়েছিলো।
তখন শাশুড়ী বলেছিলো।
— “এইগুলো তুমি ইচ্ছা কইরা করছো না।যাতে আমার মাইয়ারা খাইতে না পারে।এতো হিংসা পেটে নিয়া থাকো কেমনে”
— ‘আহা মা ছাড়ো না।এতোদিন ধরে খাচ্ছি কই কখনো তোহ এমন হয়নি আজ প্রথম হয়েছে তাতে কি।’ (সাথী)
— ‘হ্যা মা বাদ দেও।ভাবির হাতের রান্না কতোবার খেলাম কখনো তোহ লবন,মরিচের কম বেশি হয়নি। আজ হয়তো ভুল করে হয়েছে। নয়তো কেউ করেছে’ (সূচি) রুপার দিকে চেয়ে কথাটা বললো
— ‘নে এইবার তোহ খুশি আমার মাইয়া গুলোরে দেখতে পারোস না তাই মাংসে লবন বেশি দিছস তাই না।’ (শাশুড়ী)
— ‘না মা আমি সব ঠিকঠাকই দেখেছিলাম। তারপরও কিভাবে যে লবন বেশি হয়ে গেলো বুঝতে পারছি না।’
— ‘হ্যা তা বুঝবা কেমনে লব্ধি ন তোহ অন্য কেউ মিশায় দিছে তাই না। কতোবার কইছিলাম শাওনরে এমন ফকিন্নি বাড়িতে বিয়ে করিছননা। কিন্ত আমার কথা শুনোস নাই বাপ পোলা মিল্লা বলস মাইয়া ভালো।’
— ‘আহা মা বাদ দেও না।আলো মাংসে আলু আর টমেটো দিয়ে জ্বাল করো দেখবা লবন কমে যাবে।’ (সূচি)
— ‘ঠিক আছে আপু।’
শাশুড়ী আমার রাগে ফুসতে ফুসতে চলে গেলো।সাথে শ্বশুরও।শাওন চুপচাপ আমার দিকে চেয়ে আছে।
— ‘এইবার তোহ খুশি হয়েছেন ভাবি। শাওন কি বিয়ে করছো ঘরে অশান্তি ছাড়া কিছুই পারে না। বাপের বাড়ি থেকে কি কিছু শিখে আসেন নাই। (রুপা)
— ‘রুপা তুই এইসব কথা কেনো বলছিস। তুই কি পারিস।অন্যের সংসারে দখল দিতে আসবি না।’ (সূচি রেগে কথাটা বললো)
এইবার দুইবোন আর রুপার মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আপুরা চলে যায়।আর আমি সেখানেই নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। শাওন চুপচাপ উঠে চলে গেলো আর ফিরলো রাতে। আমি জানতাম আজকে কাহিনির জন্য শাস্তি হিসেবে আমায় নির্ঘুম থাকতে হবে।শাওন কখনো আমার গায়ে হাত তোলেনি কিন্তু মানসিক ভাবে অত্যাচার করতে ভালোই জানে। জানিনা কিভাবে এবার লবন বেশি হয়েছিলো।
.
চুলায় ভাত বসিয়ে আরেক চুলায় মাছ ভাজতেছি। কিছুক্ষন পর আমার শাশুড়ী এসে হাজির।
— ‘তুমি গোসল না করে আমার রান্ধন ঘরে আসছো কেন।এই খাওন আমরা খামু না।’
— ‘চিন্তা করার কিছু নেই মা৷সারারাত মাছ কেটে আজানের সময় রুমে গিয়েছি।ঘুমাইনি তাই গোছল করার প্রয়োজন নেই।’ (বলেই নিজের কাজে মন দিলাম)
শাশুড়ী কিছু না বলে চলে গেলো।
সারাদিন কাজ করে যখন দুপুরে নিজের রুমে একটু শুয়েছি।ওমনি রুপা এসে হাজির।
— ‘ভাবি আমার মোগলাই পরটা খেতে ইচ্ছে করছে উঠে বানায় দেও।আমি একবার রুপার দিকে তাকালাম।এই মেয়েটা জানে আমি সারারাত ঘুমাইনি।তারপরও আমায় কাজের হুকুম দিতে দৌড়ে চলে আসলো। এরপর উঠে গিয়ে মোগলাই বানাতে গেলাম।এইসব বলার মতো কেউ নেই। সাথী আর সূচি আপু বাসায় আসলে আরাম পাই। তারা খুবই ভালো।
.
এভাবে বেশ কিছুদিন কেটে গেলো।একদিন রাতে শাওনকে বললাম,
— ‘শুনুন আমাদের বাচ্চা হচ্ছে না একবার ডাক্তার দেখালে ভালো হয়।অনেক তোহ কবিরাজের কাছে দৌড়ালাম।’
— ‘শোনো ডাক্তার এর কাছে তুমি যাও।কারন সমস্যা তোমার আমার না।এক মাস সময় দিচ্ছি, আমায় বাচ্চা দিতে না পারলে তোমায় আমি ডিভোর্স দিবো।’
বলেই রুম থেকে বের হয়ে গেলো।বাচ্চা না হওয়ার জন্য কতো কথা শুনতে যে হলো।আচ্ছা বাচ্চা না হওয়া কি শুধু মেয়েদেরই দোষ ছেলেদের কি কোনো দোষ নেই।
—
———-
অন্যদিকে, ১ বছর হয়ে গেলো আঁধার দেশে এসেছে।সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিয়ে করবে না।আঁধারের মা অনেক চেষ্টা করে ছেলেকে বিয়ের জন্য রাজি করাতে পারেনি।ছেলে বিয়ে না করার কারন মা হয়েও বুঝতে পারছে না।
— আঁধারের মা: ‘আঁধার বাবা আমি তোমার মা হয়েও বুঝতে পারছি না, তুমি কেন বিয়ে করবা না।’
আঁধার তার মায়ের দিকে চেয়ে আছে,
— আঁধার: ‘মা আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না।আর আমি আর বিদেশ যাবো না।এটাই আমার শেষ সিদ্ধান্ত আমি যা করার দেশে থেকেই করবো।আর বার বার আমায় এক প্রশ্ন করবে না।’
আঁধার চলে গেলো।
– “আমি তোমায় কথা দিয়েছিলাম আলো।শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত তোমার জন্য অপেক্ষা করবো। তুমি যে এই আঁধারের আলো। তোমায় ছাড়া আমার জীবন আঁধার রয়ে গেছে।তুমি এসেই আলোকিত করে দিবে সেই অপেক্ষা আছি।”
৪ বছর বিদেশে থেকে টাকা কামিয়ে দেশে যখন শুনলো আলোর বিয়ে হয়ে গিয়েছে।তখন অনেক ভেঙে পড়েছিলো আঁধার।ভাগ্যকে মেনে নিয়েছিলো। হয়তো তাদের আলাদা হওয়ারই ছিলো।
—–
———
— ‘শাওন ও শাওন এদিকে আয় দেখে যা তোর বউ কি করছে।ওই রুপা, শাওনের বাপ কই তুমি দেইখা যাও কি করছে গো।’ (চিল্লাচিল্লি করে)
সবাই চিল্লাচিল্লি আওয়াজে দৌড়ে এসে অভাক হয়ে আলোর দিকে তাকিয়ে আছে।
(চলবে)…